বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ- কবিতা বিশ্লেষণ, মূলভাব, নামকরণের সার্থকতা
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা মাইকেল মধুসূদন দত্ত'র লেখা বাংলা কবিতা "বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ" এর কবি পরিচিতি, মূলভাব, উৎস পরিচিতি, কবিতার মূল বক্তব্য ও বিশ্লেষণ, চৌম্বিক তথ্য, নামকরণের সার্থকতা এবং পাঠ বিস্তারিত বিশ্লেষণ জানব। এই কবিতাটি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা ১ম পত্র বইয়ের প্রথম কবিতা যা অত্যন্ত জটিল ভাষার একটি কবিতা। তাই অনেক শিক্ষার্থী এই কবিতা সহজেই বুঝতে পারে না। তাদের উদ্দেশ্য করেই আজকের আর্টিকেল আমরা সাজিয়েছি।
সমস্ত লেখার পিডিএফ ডাউনলোড লিংক সর্বশেষে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ডাউনলোড করে রেখে দিতে পারেন।
বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবি পরিচিতি
আধুনিক বাংলা কবিতার অগ্রদূত মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫-এ জানুয়ারি যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম রাজনারায়ণ দত্ত, মাতা জাহ্নবী দেবী। মায়ের তত্ত্বাবধানে গ্রামেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয়। মধুসূদন ১৮৩৩ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার হিন্দু কলেজের স্কুল শাখায় ভর্তি হন। সেখানে ছাত্রাবস্থাতেই তাঁর-সাহিত্য-প্রতিভার স্ফুরণ ঘটে। ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করে তিনি পিতৃপ্রদত্ত নামের শুরুতে 'মাইকেল' শব্দ যোগ করেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণে তাঁকে হিন্দু কলেজ পরিত্যাগ করে শিবপুরের বিশ কলেজে ভর্তি হতে হয়। সেখানেই তিনি গ্রিক, লাতিন ও হিব্রু ভাষা শিক্ষার সুযোগ পান। মধুসূদন বহু ভাষায় দক্ষ ছিলেন। ইংরেজি ও সংস্কৃতসহ ফরাসি, জার্মান এবং ইতালীয় ভাষাতেও তিনি দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।
হিন্দু কলেজে ছাত্রাবস্থায় তাঁর সাহিত্যচর্চার মাধ্যম ছিল ইংরেজি ভাষা। কিন্তু বিদেশি ভাষার মোহ থেকে মুক্ত হয়ে তিনি মাতৃভাষার কাছে ফিরে আসেন। মধুসূদন-পূর্ব হাজার বছরের বাংলা কবিতার ছন্দ ছিল পয়ার। একটি চরণের শেষে আর একটি চরণের মিল ছিল ওই ছন্দের অনড় প্রথা। মধুসূদন বাংলা কবিতার এ প্রথাকে ভেঙে দিলেন। তাঁর প্রবর্তিত ছন্দকে বলা হয় 'অমিত্রাক্ষর ছন্দ'। তবে এটি বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দেরই নবরূপায়ণ। বাংলায় চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেটেরও প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্ত। বাংলা নাটকের উদ্ভবযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার তিনি।
আধুনিক নাটক 'শর্মিষ্ঠা', 'পদ্মাবতী' ও 'কৃষ্ণকুমারী' এবং প্রহসন 'একেই কি বলে সভ্যতা?' ও 'বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ' তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি।
তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলো হলো: 'তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য', 'মেঘনাদবধ-কাব্য', 'ব্রজাঙ্গনা কাব্য', 'বীরাঙ্গনা কাব্য', 'চতুর্দশপদী কবিতাবলি'।
১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৯এ জুন কলকাতায় মাইকেল মধুসূদন দত্ত মৃত্যুবরণ করেন।
বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ উৎস পরিচিতি
"বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ" কাব্যাংশটুকু মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'মেঘনাদবধ-কাব্য'- এর 'বধো' (বধ) নামক ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত।
বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ মূল বক্তব্য
'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' কাব্যাংশটুকু 'মেঘনাদবধ-কাব্য'-এর থ 'বধো' (বধ) নামক ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে। রামচন্দ্র কর্তৃক দ্বীপরাজ্য স্বর্ণলঙ্কা আক্রান্ত হলে রাজা রাবণ অসহায় হয়ে পড়েন। রামচন্দ্রের সঙ্গে যুদ্ধে মধ্যম সহোদর কুম্ভকর্ণ এবং জ্যেষ্ঠ পুত্র বীরবাহুর মৃত্যুর পর রাবণ তাঁর ছোট ছেলে মেঘনাদকে পরবর্তী যুদ্ধের সেনাপতি হিসেবে বরণ করে নেন। মেঘনাদ রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রার পূর্বে নিকুন্তিলা যজ্ঞাগারে ইষ্টদেবতা অগ্নিদেবের পূজা সম্পন্ন করতে মনস্থির করে।
তখন মায়াদেবীর আনুকূল্যে এবং রাবণানুজ বিভীষণের সহায়তায় শত শত প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রামানুজ লক্ষ্মাণ সেই যজ্ঞাগারে প্রবেশ করে। লক্ষ্মণ এ সময় নিরস্ত্র মেঘনাদকে তার সঙ্গে যুদ্ধ করতে আহ্বান করে এবং তরবারি কোষমুক্ত করে তাঁকে আক্রমণ করে। মেঘনাদ তখন অস্ত্রাগারে প্রবেশ করে যুদ্ধসাজ গ্রহণ করতে চায়। কিন্তু পারে না, বিভীষণ অস্ত্রাগারের স্বার আগলে দাঁড়িয়ে থাকে। বিভীষণ তাকে কোনোভাবেই অস্ত্রাগারে প্রবেশ করতে দেয় না। এই সময় খুল্লতাত বিভীষণকে উপলক্ষ করে নিরস্ত্র মেঘনাদ যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে, সেই নাটকীয় ধারাভাষ্যই 'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' কবিতাংশে প্রতিফলিত হয়েছে।
রাবণের কনিষ্ঠ সহোদর বিভীষণের এরূপ আচরণ মেঘনাদকে বিস্মিত ও মর্মাহত করে। মেঘনাদের মনে প্রশ্ন জাগে- বিভীষণ কী করে এমন হীন কাজ করতে পারল? নিকষা সতী যার মা, রক্ষঃশ্রেষ্ঠ রাবণ ও কুম্ভকর্ণ যার ভাই, সে-ই কিনা শত্রুকে পথ চিনিয়ে ঘরে নিয়ে এলো? চণ্ডালকে ডেকে এনে রাজকক্ষে স্থান দিল? আর রামানুজ লক্ষ্মণকে শাস্তি দিতে অস্ত্রাগারে ঢুকতে দিচ্ছে না? তবে কি সে চায় না যে, মেঘনাদ স্বর্ণলঙ্কা শত্রুমুক্ত করে এর কালিমা মোচন করুক?
মেঘনাদ তাকে দ্বার ছেড়ে দাঁড়ানোর জন্য নানাভাবে অনুরোধ করে। কিন্তু বিভীষণ মেঘনাদের কোনো কথায়ই বিচলিত কিংবা বিগলিত হয় না। মেঘনাদের সমস্ত অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়ে দেয় যে, সে কিছুতেই রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে যেতে পারবে না। তখন মেঘনাদ আকাশের চাঁদ, রাজহাঁস, পঙ্কজকানন, শৈবালদল, সিংহ, শিয়াল প্রভৃতি অনুষঙ্গ ও উপমা সহযোগে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। মেঘনাদ বিভীষণকে তার বংশমর্যাদা ও আভিজাত্যবোধ, অতীত ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে লক্ষ্মণকে সহায়তাদানের ভুল ভাঙাতে চায়। কিন্তু বিভীষণ তা কিছুতেই মানতে চায় না।
বিভীষণ বলে- দেবতারা সবসময় পাপমুক্ত, লঙ্কাপুরী ধ্বংস হতে চলেছে, এই অবস্থার জন্য রাজা রাবণ নিজেই দায়ী, এতে তার কোনো দোষ নেই। তাই রামচন্দ্রের কাছে আশ্রয় লাভ করে সে ধন্য। মেঘনাদ তখন বিভীষণের নীচ মানসিকতা এবং লক্ষ্মণের অন্যায় আক্রমণের প্রতি ঘৃণা, ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে। এই অংশে মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাসঘাতকতা ও দেশদ্রোহিতার বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ পেয়েছে। এতে বিভীষণের প্রতি মেঘনাদের যে অনুরোধ, ক্ষোভ এবং স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে তা তার স্বদেশপ্রেম।
বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ নামকরণের সার্থকতা
বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার পথিকৃৎ মাইকেল মধুসূদন দত্তের (১৮২৪-১৮৭৩) সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি 'মেঘনাদবধ-কাব্য' (১৮৬১)। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে 'মেঘনাদবধ-কাব্য' প্রথম সার্থক মহাকাব্য। নয়টি সর্গে বিভাজিত কাব্যটির মূল আখ্যায়িকা রামায়ণ থেকে গৃহীত। রামানুজ লক্ষ্মাণ এর। কর্তৃক রাবণপুত্র মেঘনাদ নিধনের কাহিনি কবি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচনা করেছেন। 'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' কাব্যাংশটুকু 'মেঘনাদবধ-কাব্য'-এর 'বধো' (বধ) নামক ষষ্ঠ সর্গ থেকে এবং সংকলিত হয়েছে।
এতে বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতা, লক্ষ্মাণকে লে সহায়তা এবং লক্ষ্মাণ কর্তৃক নিরস্ত্র মেঘনাদের ওপর আক্রমণের বিষয়গুলো প্রতিফলিত হয়েছে। রামচন্দ্র কর্তৃক দ্বীপরাজ্য স্বর্ণলঙ্কা আক্রান্ত হলে রাজা রাবণ অসহায় হয়ে পড়েন। ভাই কুম্ভকর্ণ এবং পুত্র বীরবাহুর মৃত্যুর পর রাবণ মেঘনাদের ওপর নির্ভর করেন। মেঘনাদ যুদ্ধযাত্রার পূর্বে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ইষ্টদেবতা অগ্নিদেবের পূজা সম্পন্ন করতে মনস্থির করে।
এমতাবস্থায় মায়াদেবীর আনুকূল্যে এবং রাবণানুজ বিভীষণের সহায়তায় শত শত প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে লক্ষ্মণ সেই যজ্ঞাগারে প্রবেশ করে। হীন মানসিকতাসম্পন্ন লক্ষ্মণ নিরস্ত্র মেঘনাদকে তার সঙ্গে যুদ্ধ করতে আহ্বান করে তরবারি কোষমুক্ত করে। মেঘনাদ তখন যুদ্ধসাজ গ্রহণ করতে অস্ত্রাগারে প্রবেশ করতে চায়, কিন্তু বিভীষণ অস্ত্রাগারের দ্বার আগলে রাখে, তাকে কোনোভাবেই সেখানে ঢুকতে দেয় না। এই সময় খুল্লতাত বিভীষণকে উপলক্ষ করে নিরস্ত্র মেঘনাদ যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে, সেই নাটকীয় ধারাভাষ্যই 'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' অংশে সংকলিত হয়েছে।
রাবণের কনিষ্ঠ সহোদর বিভীষণের এরূপ আচরণ মেঘনাদকে বিস্মিত ও মর্মাহত করে। মেঘনাদের মনে প্রশ্ন জাগে- বিভীষণ কী করে এমন হীন কাজ করতে পারল? নিকষা সতী যার মা, রক্ষঃশ্রেষ্ঠ রাবণ ও শূলিশম্ভুনিভ কুম্ভকর্ণ যার ভাই, সে-ই কিনা শত্রুকে পথ চিনিয়ে ঘরে নিয়ে এলো? চণ্ডালকে রাজকক্ষে স্থান দিল? রামানুজকে শাস্তি দিতে অস্ত্রাগারে ঢুকতে দিচ্ছে না তাকে? তবে কি সে চায় না যে মেঘনাদ স্বর্ণলঙ্কা শত্রুমুক্ত করে এর কালিমা মুছে ফেলুক? এই কাব্যাংশে মেঘনাদ বিভীষণকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে দ্বার ছেড়ে দাঁড়ানোর জন্য; কিন্তু বিভীষণ কোনো কথায়ই বিচলিত বা বিগলিত হয় না। সে মেঘনাদের সমস্ত অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। আর কিছুতেই সে রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে যেতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। তখন মেঘনাদ আকাশের চাঁদ, রাজহাঁস, পঙ্কজকানন, শৈবালদল, সিংহ, শিয়াল প্রভৃতি অনুষঙ্গ ও উপমায় তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে।
মেঘনাদ ও বিভীষণকে তার বংশমর্যাদা ও আভিজাত্যবোধ, অতীত ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে অনুষঙ্গ ও উপমা সহযোগে লক্ষ্মণকে ইসহায়তাদানের ভুল ভাঙাতে চায়। কিন্তু বিভীষণ কিছুতেই তা মানতে চায় না। বিভীষণ জানায়- দেবতারা সবসময় পাপমুক্ত, লঙ্কাপুরী ধ্বংস হতে চলেছে, এই অবস্থার জন্য রাজা নিজেই দায়ী, এতে তার কোনো দোষ নেই। সমচন্দ্রের কাছে আশ্রয় লাভ করে সে ধন্য। মেঘনাদ তখন বিভীষণের এহেন নীচ মানসিকতা এবং লক্ষ্মণের অন্যায় আক্রমণের প্রতি ঘৃণা-দুঃখ প্রকাশ করে।
এভাবে বিভীষণের প্রতি মেঘনাদের অনুরোধ, ক্ষোভ এবং স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' কাব্যাংশে। এসব দিক বিচারে 'মেঘনাদবধ-কাব্য'-এর এ অংশের নামকরণ 'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' সার্থক ও যথার্থ হয়েছে।
বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ চৌম্বক তথ্য
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত আধুনিক বাংলা কবিতার অগ্রদূত।
- দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার চেতনা তাঁর সাহিত্যের মূল সুর।
- 'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'মেঘনাদবধ-কাব্য'-এর অন্তর্গত।
- 'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' কাব্যাংশটুকু 'মেঘনাদবধ-কাব্য' এর 'বধো' (বধ) নামক যষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত।
- রামচন্দ্র স্বর্ণলঙ্কা আক্রমণ করার পর তাঁর দৈব-কৌশলের কাছে বারবার অসহায় হয়ে পড়েন রাজা রাবণ।
- মেজ ভাই কুম্ভকর্ণ ও বড় ছেলে বীরবাহুর মৃত্যুর পর রাজা রাবণ ছোট ছেলে মেঘনাদকে সেনাপতি নির্বাচন করেন।
- যুদ্ধযাত্রার আগে মেঘনাদ ইষ্টদেবতা অগ্নিদেবের পূজা সম্পন্ন করার জন্য নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে গমন করেন।
- মায়াদেবীর আনুকূল্যে এবং বিভীষণের সহায়তায় লক্ষ্মাণ শত শত প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে প্রবেশ করে।
- লক্ষ্মণ নিরস্ত্র মেঘনাদকে যুদ্ধসাজ গ্রহণের সময় না দিয়ে আক্রমণ করে।
- অস্ত্রাগারের প্রবেশদ্বারে বিভীষণ দাঁড়িয়ে মেঘনাদকে সেখানে প্রবেশে বাধা দেয়।
- দেশপ্রেমিক নিরস্ত্র মেঘনাদ তার পিতৃব্যের প্রতি যে নাটকীয় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে, তা-ই 'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' কবিতার মূল বিষয়।
- পরিবারের বীরশ্রেষ্ঠদের সম্মান ও আভিজাত্য বিসর্জন দিয়ে বিভীষণ দেশদ্রোহিতা ও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
- পিতৃব্য বিভীষণের ষড়যন্ত্রকে মেঘনাদ অত্যন্ত নীচতা ও বর্বরতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
- মেঘনাদ লক্ষ্মণকে তস্কর, চণ্ডাল, শৃগাল, দুরাচার কীট, ক্ষুদ্রমতি নর প্রভৃতি বলে ধিক্কার জানিয়েছে।
- কবি মেঘনাদকে অরিন্দম, বাসববিজয়ী, মৃগেন্দ্র-কেশরী বলেছে।
- 'মেঘনাদবধ' মহাকাব্যের এই অংশে বিভীষণকে রাঘবদাস, নীচ, দুর্মতি বলা হয়েছে।
- 'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' কাব্যাংশে জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব, জাতিসত্তার প্রতি মেঘনাদের প্রবল আনুগত্য প্রকাশ পেয়েছে।।
- 'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' কাব্যাংশটি ১৪ মাত্রার অমিল প্রবহমান, যতিস্বাধীন অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত। প্রতি পঙক্তিতে এর পর্বসংখ্যা ২ (৮+৬)।
সোনার তরী কবিতা দিয়েন
অপেক্ষা করুন, শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে সকল কবিতা।