বাংলা ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি প্রশ্ন

বাংলা ২য় পত্রের ব্যাকরণ অংশের ৩নং প্রশ্ন ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি অংশের যে প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং যেগুলো পরিক্ষায় আসার উপযোগী সেই প্রশ্নগুলো নিচে আলোচনা করা হলো। 

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর 


বিশেষ্য পদ কাকে বলে? বিশেষ্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা করো।

উত্তর: যে শব্দশ্রেণি দ্বারা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, জাতি, সমষ্টি, কাল, ভাব, কর্ম বা গুণের নাম বোঝায় তাকে বিশেষ্য বলে। যেমন- মোবাইল, ছাতা, কলম, পাখা ইত্যাদি। 

বিশেষ্য ছয় প্রকার। যেমন- 

১। সংজ্ঞা বা নামবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা স্থানের নাম বোঝায় তাকে সংজ্ঞা বা নামবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- গ্রেনেড, ঢাকা, চশমা ইত্যাদি। 

২। জাতিবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো এক জাতীয় প্রাণী বা পদার্থের সাধারণ নাম বোঝায় তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- মানুষ, পাখি, ফল, পর্বত ইত্যাদি। 

৩। বস্তুবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো উপাদানবাচক পদার্থের নাম বোঝায়, তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- তেল, চাল, চিনি, পাউডার ইত্যাদি। 

৪। সমষ্টিবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদ দ্বারা বেশ কিছু সংখ্যক ব্যক্তি বা প্রাণীর সমষ্টি বোঝায়, তাই সমষ্টিবাচক বিশেষ্য। যেমন- সভা, মিছিল, জমায়েত, বহর ইত্যাদি। 

৫। ভাববাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো ক্রিয়া বা কাজের ভাব প্রকাশিত হয়, তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- গমন, ভোজন, শয়ন ইত্যাদি। 

৬। গুণবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো বস্তুর দোষ বা গুণের নাম বোঝায়, তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- তারল্য, তিক্ততা, সৌন্দর্য, স্বাস্থ্য ইত্যাদি।


সর্বনাম কাকে বলে? প্রকারভেদ উদাহরণসহ আলোচনা করো।

উত্তর: বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যেসব শব্দ ব্যবহৃত হয় তাকে সর্বনাম বলে। যেমন- আমি বই পড়ি। সে নিয়মিত স্কুলে যায় ইত্যাদি। 

সর্বনাম সাধারণত ১০ প্রকার। যেমন- 

১। ব্যক্তিবাচক সর্বনাম: যে সর্বনাম পদ কোনো ব্যক্তিকে বোঝায় তাকে ব্যক্তিবাচক সর্বনাম বলে। যেমন- আমি, তুমি ইত্যাদি। 

২। আত্মবাচক সর্বনাম: কর্তা নিজে কাজটি করেছে- ভাবটি জোর দিয়ে প্রকাশ করার জন্য যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয় তাকে আত্মবাচক সর্বনাম বলে। যেমন- আমি নিজে কাজটি করেছি। 

৩। নির্দেশক সর্বনাম: যে সর্বনাম পদ দ্বারা বক্তার কাছ থেকে কোনো কিছুর নৈকট্য বা দূরত্ব নির্দেশ করা হয়, তাকে নির্দেশক সর্বনাম বলে। যেমন- এ, এই, এরা ইত্যাদি। 

৪। অনির্দিষ্ট সর্বনাম: যে সর্বনাম কোনো অনির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুর পরিবর্তে বসে, তাকে অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক সর্বনাম বলে। যেমন- কোনো, কেহ, কেউ ইত্যাদি। 

৫। প্রশ্নবাচক সর্বনাম: যে সর্বনাম দ্বারা কোনো কিছু জানার ইচ্ছা প্রকাশ পায়, তাকে প্রশ্নবাচক সর্বনাম বলে। যেমন- কে, কী, কোন, কার, কীসের ইত্যাদি। 

৬। সংযোগবাচক সর্বনাম: যে সর্বনাম দ্বারা দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা বস্তুর মধ্যে সংযোগ বোঝায়, তাকে সংযোগবাচক সর্বনাম বলে। যেমন- যে, যিনি, যারা ইত্যাদি। 

৭। সাপেক্ষ সর্বনাম: পরস্পর নির্ভরশীল যে যুগল সর্বনাম দুটি বাক্যাংশের সংযোগ ঘটায় তাকে সাপেক্ষ সর্বনাম বলে। যেমন- যত চাও তত লও। যেমন কর্ম তেমন ফল। সংক্ষেপে- যে...সে, যা...তা, যিনি...তিনি, যার...তার, যেমন...তেমন ইত্যাদি। 

৮। ব্যতিহার সর্বনাম: যে সর্বনাম দুপক্ষের সহযোগ বা পারস্পরিক নির্ভরতা বোঝায় তাকে ব্যতিহার সর্বনাম বলে। যেমন- আমরা নিজেরা কাজটি করেছি। 

৯। সাকল্যবাচক সর্বনাম: যে সর্বনাম দ্বারা ব্যক্তি, বস্তু বা ভাবের সমষ্টি বোঝায় তাকে সাকল্যবাচক সর্বনাম বলে। যেমন- সকল, সব, সমুদয়, সমূহ ইত্যাদি। 

১০। অন্যবাচক সর্বনাম: যে সর্বনাম নিজ ভিন্ন অন্য কোনো অনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় তাকে অন্যবাচক সর্বনাম বলে। যেমন- অন্য, অপর, পর ইত্যাদি।


যোজক কাকে বলে? উদাহরণসহ প্রকারভেদ আলোচনা করো।

উত্তর: যেসব শব্দ একটি বাক্যাংশের সঙ্গে অন্য একটি বাক্যাংশ অথবা বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য একটি শব্দের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায় তাকে যোজক বলে। জলিল ও সেলিম আবির খেলা করছে। এখানে যোজক হলো ‘ও’ । নতুবা, অথবা, সুতরাং, বা, আর, অতএব, কিংবা, যেহেতু, তথাপি, বরং, কারণ, তবে, তাই, যদিও, তবুও ইত্যাদি যোজক। 

যোজক পাঁচ প্রকার। যেমন- 

১। সাধারণ যোজক: যে যোজক দ্বারা একাধিক শব্দ, বাক্য বা বাক্যাংশকে সংযুক্ত করা যায় তাকে সাধারণ যোজক বলে। যেমন- রুমি ও তার বন্ধু কাজটি করেছে। রিটা আর মঈন কলকাতায় যাবে ইত্যাদি। 

২। বৈকল্পিক যোজক: যে যোজক দ্বারা একাধিক শব্দ, বাক্য বা বাক্যাংশের মধ্যে বিকল্প বোঝায় তাকে বৈকল্পিক যোজক বলে। যেমন- মিতা বা তার বন্ধু যে কেউ এলেই চলবে। শফিক বা তার রুমে যেকোনো একজন হলেই চলবে ইত্যাদি। 

৩। বিরোধমূলক যোজক: এ ধরনের যোজক দুটি বাক্যের সংযোগ ঘটিয়ে দ্বিতীয়টি দ্বারা প্রথমটির বিরোধ নির্দেশ করে। যেমন- তোমাকে চিঠি লিখেছি, কিন্তু উত্তর পাইনি। টাকা ধার দিলাম অথচ এখনো ফেরত পেলাম না ইত্যাদি। 

৪। কারণবাচক যোজক: এ ধরনের যোজক এমন দুটি বাক্যের মধ্যে সংযোগ ঘটায় যার একটি অন্যটির কারণ। যেমন- তিনি আসেননি, কারণ তিনি খুব অসুস্থ। রকিব ফেল করেছে, কারণ সে পড়েনি ইত্যাদি। 

৫। সাপেক্ষ যোজক: পরস্পর নির্ভরশীল যে যোজকগুলো একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হয় তাদের সাপেক্ষ যোজক বলে। যেমন- যদি পরিশ্রম কর তবে ভালো ফল পাবে। যেমন কর্ম তেমন ফল ইত্যাদি।


আবেগ শব্দ কাকে বলে? উদাহরণসহ প্রকারভেদ আলোচনা করো।

উত্তর: যেসব শব্দ মনের বিশেষ ভাব বা আবেগ প্রকাশে সাহায্য করে তাকে আবেগ শব্দ বলে। যেমন- বাহ! সে আজ ভালো খেলেছে। আহ! কী সুন্দর দৃশ্য ইত্যাদি। 

আবেগ শব্দ আট প্রকার। যেমন- 

১। সিদ্ধান্তবাচক আবেগ শব্দ: এ ধরনের আবেগ শব্দ অনুমোদন, সম্মতি, সমর্থন ইত্যাদি ভাবের দ্যোতনা সৃষ্টি করে। যেমন- বেশ! তাই হোক। না, আমি তোমার কোনো কথাই শুনব না ইত্যাদি। 

২। প্রশংসাবাচক আবেগ শব্দ: এ ধরনের আবেগ শব্দ দ্বারা প্রশংসা বা তারিফের মনোভাব প্রকাশ পায়। শাবাশ! কাজের মতো একটা কাজ করেছ। বাহ! খুবই চমৎকার একটি ছবি এঁকেছ তো ইত্যাদি। 

৩। বিরক্তিসূচক আবেগ শব্দ: এ ধরনের আবেগ শব্দ অবজ্ঞা, ঘৃণা, বিরক্তি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। যেমন- কী আপদ! লোকটা যে পিছু ছাড়ছে না ইত্যাদি। 

৪। ভয় ও যন্ত্রণাবাচক আবেগ শব্দ: এ ধরনের আবেগ শব্দ যন্ত্রণা, আতঙ্ক, কাতরতা ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশ করে। যেমন- নাহ! এ কষ্ট অসহ্য। আহ! কী বিপদ ইত্যাদি। 

৫। বিস্ময়বাচক আবেগ শব্দ: এ ধরনের আবেগ শব্দ দ্বারা বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়ার ভাব প্রকাশ পায়। যেমন- আরে, তুমি আবার কখন এলে! খবর কী? এখনই চলে যাবে! ইত্যাদি। 

৬। করুণাবাচক আবেগ শব্দ: এ ধরনের আবেগ শব্দ দ্বারা করুণা বা সহানুভূতির মনোভাব প্রকাশ পায়। যেমন- আহা! বেচারার কেউ নেই। হায়! হায়! ওদের এখন কে দেখবে ইত্যাদি। 

৭। সম্বোধনবাচক আবেগ শব্দ: এ ধরনের আবেগ শব্দ আহ্বান বা সম্বোধন করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন- ওগো, আমার কথা তুমি শুনতে পাচ্ছ? হে বন্ধু! তোমাকে অভিনন্দন ইত্যাদি। 

৮। আলংকারিক আবেগ শব্দ: এ ধরনের আবেগ শব্দ বাক্যের অর্থের কোনো পরিবর্তন না ঘটিয়ে কোমলতা, মাধুর্য ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য এবং সংশয়, অনুরোধ, মিনতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশে অলংকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন- ধুর পাগল! ওর কথায় কান দিস না। যাক সে যাক, ওসব কথা ভেবে লাভ নেই ইত্যাদি।

বিগত বছরের গুরুত্বপূর্ণ বোর্ড প্রশ্ন- প্রয়োগমূলক 


প্রশ্ন: নিম্নলিখিত যেকোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শ্রেণি নির্দেশ করো-

একটু মিটমিট করিয়া ক্ষুদ্র আলো জ্বলিতেছে-দেয়ালের ওপর চঞ্চল ছায় প্রেতবৎ নাচিতেছে। আহার প্রস্তুত হয় নাই- এজন্য হুকা হাতে, নিমীলিতলোচনে আমি ভাবিতেছিলাম যে, আমি যদি নেপোলিয়ন হইতাম, তবে ওয়াটারলু জিতিতে পারিতাম কিনা। 

উত্তর: মিটমিট- ক্রিয়া বিশেষণ, ক্ষুদ্র- বিশেষণ, নাচিতেছে-ক্রিয়া, হুকা-বিশেষ্য, তবে-যোজক।


প্রশ্ন: নিম্নলিখিত যেকোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শ্রেণি নির্দেশ করো-

সে ছিল চমৎকার সুন্দরী তরুণী। নিয়তির ভুলেই যেন এক কেরানির পরিবারে তার জন্ম হয়েছে। তার ছিল না কোনো আনন্দ, কোনো আশা। পরিচিত হওয়ার, প্রশংসা পাওয়ার, প্রেমলাভ করার এবং কোনো ধনী অথবা বিশিষ্ট লোকের সঙ্গে বিবাহিত হওয়ার কোনো উপায় তার ছিল না। তাই শিক্ষা পরিষদ আপিসের সামান্য এক কেরানির সঙ্গে বিবাহ সে স্বীকার করে নিয়েছিল। 

উত্তর: সুন্দরী-বিশেষণ, পরিবারে-বিশেষ্য, তার-সর্বনাম, অথবা-যোজক, সামান্য-বিশেষণ।


প্রশ্ন: নিম্নলিখিত যেকোনো পাঁচটি বিশেষণ পদ চিহ্নিত করো-

অপরের জন্য তুমি প্রাণ দাও-আমি বলতে চাই না। অপরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দুঃখ তুমি দূর করো। অপরকে একটুখানি সুখ দাও। অপরের সঙ্গে একটুখানি মিষ্টি কথা বল। পথের অসহায় মানুষটির দিকে একটা করুণ কটাক্ষ নিক্ষেপ করো-তাহলেই অনেক হবে। 

উত্তর: ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র, মিষ্টি, একটুখানি, অসহায়, করুণ।


প্রশ্ন: নিম্নলিখিত যেকোনো পাঁচটি বিশেষণ পদ চিহ্নিত করো-

এখন প্রচণ্ড শীত। কফিল ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা পেতে উঠানে বসে সকালের মিষ্টি রোদে গা গরম করছিল। রান্নাঘর থেকে মা তাকে ডাক দেয় ভাপা পিঠা খেতে। তার মায়ের হাতের পিঠা যেন অমৃত। লোভাতুর জিহ্বার পরিতৃপ্তি সাধনে সে নগ্নপায়ে রান্নাঘরে দৌড় দেয়। 

উত্তর: প্রচণ্ড, মিষ্টি, ভাপা, অমৃত, নগ্ন।


প্রশ্ন: নিম্নলিখিত যেকোনো পাঁচটি বিশেষণ পদ চিহ্নিত করো-

আজ সাদা মেঘে আকাশ ছেয়ে গেছে। হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলো। সাবিত ভাঙা ছাতা দিয়ে বৃষ্টি ঠেকানোর বৃথা চেষ্টা করছিল। তার বেখেয়ালি মন হালকা বৃষ্টি আর মৃদু হাওয়ায় অস্থির হয়ে উঠল। 

উত্তর: সাদা, ভাঙা, বৃথা, বেখেয়ালি, হালকা।


প্রশ্ন: নিম্নলিখিত যেকোনো পাঁচটি বিশেষণ পদ চিহ্নিত করো-

নীল আকাশ। রোদেলা দুপুর। পাখিটি পাখনা মেলে দিগন্তের পথে পাড়ি জমাচ্ছে। দখিনা বাতাসে টকটকে লাল পলাশ ফুল দুলছে। তাই দেখে সাদা মেঘের দলও বলাকার মতো উড়ছে; যাব দূরে বহুদূরে। 

উত্তর: নীল, রোদেলা, দখিনা, সাদা, লাল।


প্রশ্ন: নিম্নলিখিত যেকোনো পাঁচটি ক্রিয়া বিশেষণ পদ চিহ্নিত করো-

বাবা সকালে দ্রুত বেরিয়ে গেছেন। তখন টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছিল। ঘরে বসে একমনে টিভি দেখছিল ছোট বোন। এ সময় কেউ টিভিতে গুনগুনিয়ে গান করছিল। হঠাৎ বাবা এসে বললেন, তার চশমাটা চট করে খুঁজে দিতে। 

উত্তর: দ্রুত, টিপটিপ, একমনে, গুনগুনিয়ে, চট করে।


প্রশ্ন: নিম্নলিখিত যেকোনো পাঁচটি বিশেষণ পদ চিহ্নিত করো-

সকালে মা তার ঘুমন্ত শিশুকে জাগিয়ে গরম দুধ খাওয়ালেন। এরপর আড়াই বছরের অবুঝ শিশুটিকে নিয়ে বাগানে লাল লাল ফুল দেখালেন। সদ্যোজাত ফুলগুলো ছিল চমৎকার। ঝকঝকে রোদে পরিবেশও ছিল সুখকর। 

উত্তর: ঘুমন্ত, গরম, অবুঝ, লাল লাল, সদ্যোজাত।


প্রশ্ন: নিম্নলিখিত যেকোনো পাঁচটি ক্রিয়াপদ পদ চিহ্নিত করো-

এতদিন যে প্রতি সন্ধ্যায় আমি বিনুদাদার বাড়িতে গিয়া তাহাকে অস্থির করিয়া তুলিয়াছিলাম। বিনুদার বর্ণনার ভাষা অত্যন্ত সংকীর্ণ বলিয়াই তার প্রত্যেক কথাটি স্ফূলিঙ্গের মতো আমার মনের মাঝেখানে আগুন জ্বালিয়া দিয়াছিল। বুঝিয়াছিলাম মেয়েটির রূপ বড় আশ্চর্য; কিন্তু না দেখিলাম তাহাকে চোখে, না দেখিলাম তাহার ছবি, সমস্তই অস্পষ্ট হইয়া রহিল। 

উত্তর: গিয়া, করিয়া, জ্বালিয়া, দেখিলাম, রহিল।


প্রশ্ন: নিম্নলিখিত যেকোনো পাঁচটি সর্বনাম পদ চিহ্নিত করো-

কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনের পরিণাম অত্যন্ত করুণ। মস্তিষ্কের পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে ১৯৪২ সাল থেকেই তিনি ছিলেন জীবিত থেকেও মৃত। দীর্ঘকাল তিনি ছিলেন নির্বাক ও ভাবশূন্য। ১৯৭৬ সালে কবির জীবনপ্রদীপ নির্বাপিত হলে তার সমাধি রচিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ প্রাঙ্গণে। গানে তিনি এ আশা ব্যক্ত করেছিলেন, ‘মসজিদের পাশে আমায় কবর দিও ভাই।’ তার সে ইচ্ছা পূর্ণ হয়েছে। 

উত্তর: তিনি, তার, এ, আমায়, সে।


প্রশ্ন: নিম্নলিখিত যেকোনো পাঁচটি বিশেষণ পদ চিহ্নিত করো-

আদি কবি বাল্মীকি একদিন কাক ডাকা ভোরে সবুজ ঘাসের ওপর আনমনে বসে-গাছের ডালে বসা চঞ্চল দুটি সাদা বক ও বকীর দিকে তাকাচ্ছিলেন। এমন সময় একজন শিকারি নিচ থেকে সোনালি রঙের তির নিক্ষেপ করলেন। একটি বকের দেহে তির বিদ্ধ হলো। বেখেয়ালি কবি বললেন দুটি শ্লোক। এভাবেই কবিতার জন্ম হলো। 

উত্তর: সবুজ, চঞ্চল, সাদা, সোনালি, বেখেয়ালি।


Next Post Previous Post
1 জন মন্তব্য করেছে
  • নামহীন
    নামহীন ১ জুলাই, ২০২৪ এ ৭:০৭ PM

    ধন্যবাদ ভাই

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন
comment url
progress-download
প্রিয় পাঠক কোনো লেখা কপি করার অনুমতি নেই, প্রয়োজনে লিংক শেয়ার করুন। ধন্যবাদ - বাংলায় ব্লগ