পদ্মা সেতু সম্পর্কিত বিসিএস, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষা আসা প্রশ্নাবলী
বাংলাদেশের ইতিহাসে পদ্মা সেতু একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। এটি শুধুমাত্র দেশের বৃহত্তম সেতু নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
প্রশ্নোত্তর গুলোর পিডিএফ ডাউনলোড লিংক আর্টিকেলের শেষে দেওয়া আছে
সেতুর বিবরণ
পদ্মা সেতুটি বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়া ও শরীয়তপুর জেলার জাজিরা পয়েন্টের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে। এর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার। সেতুটির উপরের অংশে চার লেনের সড়কপথ এবং নিচের অংশে এক লেনের রেলপথ রয়েছে।
নির্মাণ প্রক্রিয়া
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে এবং সম্পূর্ণ হয় ২০২২ সালে। এর নির্মাণ কাজের সময়কাল বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল, যার মধ্যে অর্থায়নের সমস্যা, প্রকৌশলগত জটিলতা এবং প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা উল্লেখযোগ্য। তবে, এই সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফলভাবে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
অর্থনৈতিক প্রভাব
পদ্মা সেতু দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সাথে সারা দেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে, যা বাণিজ্য, পর্যটন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। সেতুটির মাধ্যমে পণ্য পরিবহন সহজতর হয়েছে এবং কৃষিপণ্য দ্রুত বাজারজাত করা সম্ভব হচ্ছে।
সামাজিক প্রভাব
পদ্মা সেতু সামাজিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সেবাসমূহে প্রবেশাধিকারে উন্নতি হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের মান উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
পদ্মা সেতু দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে একটি মাইলফলক। এটি দেশের অন্যান্য মেগা প্রকল্পগুলির জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করেছে। ভবিষ্যতে এর মাধ্যমে আরও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতীক। এটি দেশের মানুষের গর্ব এবং আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
Thanks
Hi