লালসালু উপন্যাসের চরিত্র সমূহের ব্যাখ্যা ও এমসিকিউ/বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের জন্য এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের জন্য "লালসালু" উপন্যাস হতে বিগত বছরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ এমসিকিউ নিচে দেওয়া হলো। এই প্রশ্নোত্তর গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আরো অনেক প্রশ্ন যুক্ত করা হলো। লালসালু উপন্যাসে যতগুলো চরিত্র আছে সবার ব্যাখ্যামূলক আলোচনা নিচে দেওয়া হলো।
সমস্ত লেখার পিডিএফ ফাইল সবার শেষে দেওয়া আছে
লালসালু উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র বিশ্লেষণ
- মজিদ: কেন্দ্রীয় চরিত্র। সকল ঘটনার নিয়ন্ত্রক। কুসংস্কার, শঠতা ও অন্ধবিশ্বাসের প্রতীক। মহব্বতনগর গ্রামে নাটকীয়ভাবে প্রবেশ করে এবং সেখানে সে নিজের ক্ষমতা বিস্তার করতে শুরু করে। ক্রন্দনরতা মেয়ে (হাসুনির মা) তার ভালো লাগে।
- রহিমা: মজিদের প্রথম স্ত্রী। শক্তিমত্তা তার বাইরের রূপ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ঠান্ডা ও ভীতু প্রকৃতির মেয়ে। স্বল্পভাষী ও মজিদের একান্ত অনুগত। গ্রামের লোকেরা তারই অন্যতম সংস্করণ। রহিমা এই গ্রামের মেয়ে। ছোটবেলায় নাকে নোলক পরে হলদে শাড়ি পেঁচিয়ে পরে ছুটোছুটি করত যা সবার মনে আছে। রহিমা বারো বছর মজিদের সাথে সংসার করেছে। মজিদের প্রতি রহিমার আনুগত্য ধ্রুবতারার মতো অনড়, বিশ্বাস পর্বতের মতো অটল। সে মজিদের ঘরের খুঁটি।
- জমিলা: মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রী। চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে। প্রথম দেখায় মজিদকে দুলার বাপ মনে করে। মজিদের আচরণ তার কাছে ভালো লাগে না। জিকিরের সময় সে বাড়ির বাইরে চলে আসায় সবাই তার দিকে চেয়ে থাকে। মজিদ তাকে ‘ঝি’ সম্বোধন করে তাড়িয়ে দেয়। মজিদের ধারণা তাকে জ্বীনে আছর করেছে। তাই তাকে মাজারের সাথে আটকে রাখে।
- খালেক ব্যাপারী: প্রতিনিধিত্বশীল চরিত্র। তাঁর কাঁধেই গ্রামের সব দায়িত্ব। মজিদের অন্যতম সহায়ক। মসজিদ নির্মাণের বারো আনা খরচ সে দেয়।
- আমিনা: খালেক ব্যাপারীর রূপবতী প্রথম স্ত্রী। রহিমার মতো সেও নিঃসন্তান। তাই আউয়ালপুরের পীরের পানি পড়া খেতে চায়। কিন্তু মজিদ তা জানতে পারে এবং নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে খালেক ব্যাপারীকে স্ত্রী তালাক দিতে বাধ্য করে। যৌবনে থোতামুখের তালগাছ দেখে বুঝত যে, সে জামাইয়ের বাড়ি এসে পৌঁছেছে।
- তানু: খালেক ব্যাপারীর দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রতি বছর আস্ত আস্ত সন্তান জন্ম দেয় বলে আমিনা বিবির সহ্য হয় না।
- পীর সাহেব: আউয়ালপুরের পীর। ময়মনসিংহের কোনো এক অঞ্চলে বংশানুক্রমে বাস করে। এক সময় তার চোখে আগুন ছিল। সে গাছে উঠে বসে থাকে। তার মুরিদদের ধারণা তিনি সূর্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। মৃত মানুষকে জীবিত করতে পারেন। মহব্বত নগরের লোকেরা আওয়ালপুরে আক্রমণ করলেও তিনি প্রতি আক্রমণ করেন না। এর প্রধান কারণ তার জইফ বা দুর্বল অবস্থা। এই বয়সে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ভালো লাগে না। তিনি উদারতা দেখিয়ে বলেন, কুত্তা তোমাকে কামড় দিলে তুমিও কি তাকে কামড়াবে?
- ধলা মিয়া: তানু বিবির বড় ভাই। বোকা কিছিমের মানুষ। বোন-জামাইয়ের ভাত এতই মিঠা লাগে যে, নড়ার নাম করে না বছরান্তেও। ব্যাপারীর সামনে কথা বলতে অস্বস্তি করে। পালাই পালাই ভাব থাকে। পরগাছা মুরুব্বি বলে পরিচিত। খালেক ব্যাপারী তাকে আওয়ালপুরের পীরের কাছে পানি পড়া আনার জন্য পাঠায় কিন্তু সে মজিদের কাছে সব বলে দেয়। মজিদকে ঘুস দেওয়ার প্রস্তাব করে। বুড়োর মতন সেও ঢেঙ্গা-লম্বা মানুষ।
- মোদাব্বের মিয়া: আক্কাসের বাবা। রাগ উঠলে তোতলায়।
- আক্কাস: গ্রামের শিক্ষিত যুবক। অনেক দিন বিদেশে ছিল। করিমগঞ্জের স্কুলে নিজে ইংরেজি পড়েছে। পাট বা তামাকের আড়তে চাকরি করে টাকা পয়সা জমিয়ে দেশে ফিরেছে। ছোটবেলা থেকে সে উচক্কা ধরনের ছেলে । করিমগঞ্জে গিয়ে বড় পোস্টের কাউকে ধরে সরকারের কাছে সাহায্যের জন্য পাঠায়। গ্রামে স্কুল বানাতে চায়। কিন্তু মজিদ তা হতে দেয় না। আক্কাসের বাবা মোদাব্বের মিয়াও স্কুল প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে।
- দুদু মিঞা: সাত ছেলের বাপ। মজিদ তাকে কলেমা জানার কথা জিজ্ঞেস করলে সে ঘাড় ঘুরে আধাপাকা মাথা চুলকায়। মুখে তার লজ্জার হাসি-চোখ পিটপিট করে। মাথায় যেনো ছিট। মজিদ তাকে ব্যাপারীর মক্তবে কলেমা শিখার আদেশ দেয়। কারণে-অকারণে খেতে না পাওয়ার কথা বলা তার অভ্যাস।
- দুদু মিঞার ছেলে: বাপের অবস্থা দেখে খিলখিল করে হাঁসে। বাপের মাথা নত করার ভঙ্গিটা তার কাছে গাধার ভঙ্গির মতো মনে হয়।
- নানি-বুড়ি: আগামি বছর যখন তানু বিবির কোলে নতুন এক আগন্তুক ট্যাঁ ট্যাঁ করে উঠবে, তখন তার ডাক পড়বে।
- হাসুনির মা: তাহের-কাদের-রতনের বোন। রহিমাকে ধান ভানার কাজে সহায়তা করে। তার স্বামী মারা গেছে। ধানক্ষেতের তাজা রঙে তার মনে পুলক জাগে। আবার বিয়ে করার ইচ্ছা হয়। ঝড় এলে তার হই হই করা অভ্যাস। রহিমা তার মোটাতাজা ছেলে হাসুনিকে পুষ্যি রাখতে চায়।
- তাহের-কাদের: হাসুনির মার ভাই। তাদের বুড়ো বাবা বুড়িমাকে চ্যালা কাঠ দিয়ে মারতে এলে তারা তা প্রতিরোধ করে। দাঁড় নেয়ে তারা মাছ শিকার করে। এদের বুদ্ধি-বিবেচনা থাকলেও এরা স্বার্থের ঘোরে ঢাকা।
- রতন: তাহের-কাদেরর কনিষ্ঠ ভাই।
- বুড়ো: তাহের-কাদের-রতন-হাসুনির মা তার সন্তান। ঢেঙ্গা দীর্ঘ মানুষ। মজিদের কাছে হাসুনির মা বুড়ো সম্পর্কে বিচার দেওয়ায় হাসুনির মাকে মনের আশ মিটিয়ে প্রহার করে। এর জন্য তাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হয়। মজিদ এ বিচারে রায় দেয়। একদিন সন্ধ্যায় কোথায় যেনো চলে যায়, আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এককালে বুদ্ধিমান লোক ছিল। বৈমাত্রেয় ভাইয়ের সাথে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ঘটিয়ে আজ সে নিঃসঙ্গ।
- বুড়ি: তাহের কাদেরের মা। যৌবনকালে হাসি-খুশি-ছটফটে ও উড়নি মেয়ে ছিল। একসময় চড়ুই পাখির মতো নাচত। খইয়ের মতো কথা ফুটত তার মুখ দিয়ে। একসময় তার চরিত্র নিয়ে গ্রামবাসীরা অপবাদ দেয় যা বুড়ো বিশ্বাস করে। এখন এই বৃদ্ধ বয়সে তার দেহ-মন পড়ে গেছে। বুড়ো হাসুনির মাকে প্রহার করতে গেলে সে উঠোনে পা ছড়িয়ে দিয়ে বিলাপ শুরু করে। বুড়ো নিরুদ্দেশ হলে বুড়ি নিশ্চুপ হয়ে যায়। খেলোয়াড় চলে গেছে তাই সে খেলবে কার সাথে?
- সলেমানের বাপ: মজিদের সভায় অশীতিপর বৃদ্ধ সলেমনের বাপও ছিল। সে ছিল হাঁপানি রোগী। মজিদের মাজার আবিষ্কারের সময় সে দম খিঁচে লজ্জায় চোখ নত করে রাখে।
- কানুর বাপ: মজিদকে এক ছিলিম তামাক এনে দেয়।
- মতলব খাঁ: ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট। পীর সাহেবের পুরানো মুরিদ।
- জনৈক লোক: যাকে মজিদ ধানের কথা জিজ্ঞেস করে। সে ঘাড় চুলকিয়ে নিতি-বিতি করে বলে, যা-ই হয়েছে তা-ই যথেষ্ট। ছেলেপুলে নিয়ে দুই বেলা খেতে পারার কথা বলে সে। তার কোনো একটা কথায় মজিদ বৃক্ষের মতো দাঁড়িয়ে থাকে।
- খোনকার মোল্লা: সমাজে জানাযা পড়ায়। তার বাড়ির সামনে মূর্তি নজরে পড়ে।
- সরকারি কর্মচারী: তিনি বাইরে বিদেশি কিন্তু ভেতরে মুসলমান। তিনি গ্রামে পরদাদার আমলের কিছু কবরের কথা বলেন।
- রেহান আলি: গ্রামের মাতব্বর। মজিদ যখন লোকদের গালাগাল করে, তখন সেও ছিল।
- জোয়ান মদ্দ কালু মতি: মজিদের গালাগাল শুনে লজ্জায় মাথা হেট করে রাখে।
- ছমিরুদ্দিন: কোঁচবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। তার রক্তাক্ত দেহ দেখে আবেদ-জাবেদের মনে দানবীয় উল্লাস হওয়ার কথা কিন্তু তারা পাথর হয়ে যায়।
- কালু মিঞা: আউয়ালপুরের সংঘর্ষে লিপ্ত হলে তার মাথা দু’ফাক হয়ে যায়। ফলে সে বেদনায় গোঙায়।
- ছুনুর বাপ: মরণরোগে যন্ত্রণা পাচ্ছে। রহিমা তার জন্য দোয়া করে।
- খেতানির মা: পক্ষাঘাতে কষ্ট পাচ্ছে। রহিমা তার জন্য দোয়া করে।
- খ্যাংটা বুড়ি: মাথায় শনের মতো চুল । সাতকূলে তার কেউ নেই। তার ছেলে যাদুর মৃত্যুর কারণে মাজারে এসে বিলোপ করে ও খোদার বিরুদ্ধে নালিশ করে। মজিদ তাকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়। সে পাঁচ পয়সা মজিদের দিকে ছুড়ে মারে ও সন্তানকে ফেরত চায়।
- মোদচ্ছের পীর: নাম না জানা পীর। যাকে ঘিরেই মজিদের যত ভণ্ডামি, অভিনয় ও আধিপত্য বিস্তার।
- কম্পাউন্ডার: করিমগঞ্জের হাসপাতালে মজিদ তাকে ডাক্তার মনে করে। ভাং-গাঁজা খাওয়া রস-কষশূন্য হাড়গিলে চেহারা তার। দুটো পয়সার লোভে তার চোখ চকচক করে থাকে।
লালসালু উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ এককথার লাইন
- উপন্যাসে রেলগাড়িকে তুলনা দেয়া হয়েছে অজগরের সাথে।
- যারা নলি (জাহাজের খালাসি) বানিয়ে ভেসে পড়ে তাদের দৃষ্টি দিগন্তে আটকায় না।
- গ্রামের মানুষের আসল জিনিস অর্থাৎ বদনা না হলে বিদেশে এক পা চলে না।
- ছোকড়া বয়সী অনেকের গলায় ঝোলানো তাবিজের থোকা ছাড়া আর কোনো বস্ত্র থাকে না। বয়স হলে এরা আর কিছু না হোক শক্ত করে গিরেটা দিতে শেখে।
- ভোরবেলায় মক্তবে জোরে পড়া হয় বলে একে খোদা তায়ালার বিশেষ দেশ মনে হয়। ন্যাংটা ছেলেও আমসিপারা পড়ে, গোঁফ উঠতে না উঠতেই কোরান হেফজ শেষ হয়ে যায়।
- গারো পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় তৈরি করা হয় বাঁশের মসজিদ।
- দূর জঙ্গলে বাঘ ডাকে। কখনো হাতির দল কুঁদে নেমে আসে।
- নিরাক পড়েছে শ্রাবণের শেষ দিকে। এমন দিনে লোকেরা ধানক্ষেতে নৌকা নিয়ে বেরোয়।
- কোথাও একটা কাক আর্তনাদ করলে মনে হয় আকাশটা যেন চটের মতো চিরে গেল।
- মজিদকে প্রথম দেখতে পায় তাহের কাদের। তারা তখন নৌকা নিয়ে কোঁচ বা বর্শা দিয়ে মাছ শিকার করছিল। মাছ ধরতে ধরতে মতিগঞ্জের সড়কে পৌছায়। সেখানেই প্রথম মজিদকে মোনাজাতের ভঙ্গিতে দেখা যায়। মজিদ সেখান থেকে উত্তরে মহব্বতনগর গ্রামের দিকে যায়। সেই গ্রামেই তাহের-কাদেরের বাড়ি অবস্থিত।
- মজিদের প্রথম সভায় অতিশীপর বৃদ্ধ সলেমনের বাপও ছিল। তিনি হাঁপানির রোগী ছিলেন। মোদাচ্ছের পীরের মাজার সংক্রান্ত সে কিছুই জানে না।
- মজিদ ছিল গারো পাহাড়ে, মধুপুর গড় থেকে তিনদিনের পথ । স্বপ্নাদেশে সে মহব্বতনগর গ্রামে আসে।
- মাছের পিঠের মতো সালু কাপড়ে আবৃত নশ্বর জীবনের প্রতীকটির পাশে মজিদের জীবন পদে পদে এগিয়ে চললো।
- গারো পাহাড়ের শ্রমক্লান্ত হাড় বের করা দিনের কথা স্মরণ করে মজিদ শিউরে উঠে।
- মজিদের কোরান তেলাওয়াত করার স্বর বেশ সুমধুর। তার কোরান তেলাওয়াতকে হাস্নাহেনার মিষ্টি মধুর ঘ্রাণের সাথে তুলনা দেওয়া হয়েছে।
- গ্রামের মানুষরা প্রচুর পরিশ্রম করে। অগ্রহায়ণের শীতে খোলা মাঠে হাড় কাঁপায়। কার্তিকে পানি সরে এলেও কচুরিপানা জড়িয়ে থাকে জমিতে।
- কালবৈশাখির কারণে কোচবিদ্ধ হয়ে (বর্শা) নিহত ছমিরুদ্দিনের রক্তাক্ত দেহ দেখে আবেদ-জাবেদের খুশি হওয়ার কথা থাকলেও তারা শোকে পাথর হয়ে যায়। মজিদের কারণে তাদের মধ্যে খোদায় ভয় জাগে।
- মজিদ শ্যেন দৃষ্টিতে (বাজপাখির প্রখর দৃষ্টি) ধানকাটা দেখে। কিন্তু গ্রামবাসীর মতো পুলক জাগে না তার অন্তরে।
- মজিদ ধরাছোয়ার বাইরে। তার যোগসূত্র রহিমা।
- তাহের কাদের ও রতনের বোন হাসুনির মা। সে ধান ভানার কাজ করত। বুড়া-বুড়ির ঝগড়ার কারণে সে নিজের মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা করে রহিমার কাছে। তার ভাইদের বুদ্ধি বিবেচনা থাকলেও স্বার্থের ঘোরে ঢাকা। বাবার জমি আছে বিধায় তারা বাবার পক্ষ নেয়।
- এককালে বুড়ো বুদ্ধিমান লোক ছিল। বৈমাত্রেয় এক ভাই তার জায়গা জমি নিয়ে মামলা করায় সে আজ নিঃস্ব। বুড়ো শয়তানের খাম্বা; অন্তরে তার কুটিলতা ও অবিশ্বাস । (বুড়োর ঝগড়ার কথা মজিদ আধ্যাত্মিকভাবে জানতে পেরেছে এই কথা বিশ্বাস না করায় বুড়োর অন্তরে কুটিলতা ও অবিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে)
- সাধারণ গালাগাল করে বুড়োকে ক্ষেপানো যায় না বলে বুড়ি সন্তানদের জন্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যাতে বুড়োর আত্মায় গিয়ে খচ করে লাগে।
- দুই বা তিন বছর অন্তর অন্তর মাজারের গাত্রাবরণ বদলানো হয়। ব্যাপারীই সেই খরচ বহন করে। মজিদ পুরোনো গাত্রাবরণটি বেশ চড়া দামে বিক্রি করে।
- বুড়ির মুখে জন্মের কথা শুনে হাসুনির মায়ের কান লাল হয়ে ওঠে, বুকে যন্ত্রণা হয়। তাই রহিমাকে কথাটি বলে।
- ক্রন্দনরতা মেয়েকে (হাসুনির মা) দেখতে মজিদের ভালো লাগে।
- বুড়োর বাড়ির খবর মজিদ অন্তরের শক্তি দিয়ে জানতে পেরেছে- এটি বুড়ো বিশ্বাস করে না। হাসুনির মা রহিমার মাধ্যমে মজিদের কাছে বুড়োর ব্যাপারে বিচার দেওয়ায় বুড়ো হাসুনির মাকে প্রাণের আশ মিটিয়ে পিটায়। ফলে মজিদ বুড়োর বিচার করে।
- ঝড়ে মহব্বতনগরের সর্বোচ্চ তালগাছটি বন্দি পাখির মতো আছড়াতে থাকে।
- যেদিন মহব্বতনগর গ্রামে প্রচণ্ড ঝড় হয়, সেদিন বুড়ো (তহুর বাবা) তার মেয়ে হাসুনির মার কাছে চেয়ে চিড়াগুড় খায়। মজিদের কথামত হাসুনির মার কাছে মাফ চায়। তারপর চিরতরে হারিয়ে যায়।
- মজিদ হাসুনির মাকে বেগুনি রঙের শাড়ি দেওয়ায় রহিমা মনঃক্ষুণ্ন হয়। কিন্তু সে মুখে প্রকাশ করে না।
- গৃহস্থের গোলায়-গোলায় যখন ধান ভরে ওঠে তখন দেশময় পিরদের সফর শুরু হয়। এসময় তাদের খাতির-যত্ন ভালো হয়, মানুষের মেজাজও খোলাসা থাকে।
- বনু মুস্তালিকের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসার পথে আয়েশা (রা.) দলচ্যুত হয়ে পড়েন। পরে একদল সিপাহী তাঁকে উদ্ধার করেন। কিন্তু তাঁর নামে অপবাদ ছড়ানো হয় যা সূরা আন-নূর থেকে মজিদ অর্থ করে শোনায়।
- সকলকে মিঞা বলে সম্বোধন করা মজিদের অভ্যাস।
- গ্রামবাসীদের বড়াই করা অভ্যাস। ৫০ মণ ধান হলে ১০০ মণের কথা বলে বড়াই করে। কিন্তু মজিদের সামনে বড়াই করা দূরের কথা, ন্যায্য কথা বলতেই সংকোচ করে।
- মজিদের রুহানি তাকত নেই বলে অন্তরে দীনতা বোধ করে।
- মজিদ কালুর বাপকে এই মিথ্যা বলে যে, করিমগঞ্জের ডাক্তার মজিদের মুরিদ। তাই তার খুব খাতির যত্ন করেছে।
- ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট মতলব খাঁ আওয়ালপুর পীরের মুরিদ। সে পীরের গুণাগুণ সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করে। নতুন পীরের আগমন মজিদকে শঙ্কিত করে তোলে। মজিদের প্রভাব কৃষ্ণপক্ষের চাঁদের মতো মিলিয়ে যাবে বলে তার ভয় হয়।
- মজিদ বেঁটে মানুষ। পায়ের আঙুল দাঁড়িয়ে বকের মতো গলা বাড়িয়ে পির সাহেবকে একবার দেখার চেষ্টা করে।
- সমাজে জানাযা পড়ান খোনকার মোল্লা। মজিদ যখন আওয়ালপুরের পীরকে দেখতে যায়, তখন অনেকেই মজিদকে চিনেও না চেনার ভান করে। যেন বিশাল সূর্যোদয় হয়েছে, আর সে আলোয় প্রদীপের আলো নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
- মজিদের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে মজিদকে না জানিয়ে একদল যুবক জেহাদি জোশে বলীয়ান হয়ে আওয়ালপুরের পীরের দরবারে উপস্থিত হয়। পরে সেখানে বিপর্যস্ত হলে করিমগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার ভাং-গাঁজা খাওয়া হাড়গিলে চেহারার কম্পাউন্ডারকে মজিদের ডাক্তার মনে হয়। সেখানে মজিদ বলে, “পোলাগুলিরে একটু দেখবেন। ওরা বড় ছোয়াবের কাজ করেছে। ওদের যত্ন নিলে আপনারও ছোয়াব হবে।”
- কালুদের কল্লা ধড় থেকে আলাদা করতে না পারায় পীরের মুরিদদের আফসোস হয়।
- আওয়ালপুরের পীরের ভণ্ডামি জনসম্মুখে ধরিয়ে দেয়াটা খালেক ব্যাপারীর প্রথম স্ত্রী আমেনা পছন্দ করে না। যার ১৩ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল অথচ এখন ত্রিশ বছর চললেও তার সন্তান হয়নি। তার সতীন তানু বিবি প্রতি বছর সন্তান জন্ম দেয় বলে তার সহ্য হয় না। সে আওয়ালপুরের পীরের আগমনের জন্য অপেক্ষা করছিল। তার পানি পড়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠছিল।
- মেয়ে মানুষ যখন পুরুষের গলা জড়িয়ে কিছু আবদার করে তখন আর নিস্তার থাকে না।
- খালেক ব্যাপারী আমেনার পীড়াপীড়িতে তার দ্বিতীয় বউয়ের বড় ভাই ধলা মিয়াকে আওয়ালপুরের পীরের নিকট থেকে পানি পড়া আনতে পাঠায়। কিন্তু সে মজিদকে এই কথা বলে দেয়।
- রহিমা মনে মনে স্থির করে যে, পাক দেওয়া শেষ হলে আমেনা বিবিকে ফিরনি খেতে দিবে।
- খালেক ব্যাপারীর স্ত্রী মাজারে পাক দেয়ার পর রহিমা তাকে ফিরনি খাওয়ানোর ইচ্ছে করেছিল। আমেনা একটু চাপা স্বভাবের হলেও রহিমার সাথে সে প্রাণ খুলে কথা বলত।
- আমেনা বিবি গায়ে মাথায় বুটিদার হলুদ রঙের একটা চাদর দেয়।
- আক্কাস বিদেশে ছিল বহুদিন। তার বাবার নাম মোদাব্বের মিঞা। সে মুরুব্বিদের বুদ্ধি নিয়ে সন্দেহ করায় অনেকেই পছন্দ করছিল না। তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ায় অনেকে চিন্তামুক্ত থাকে। সে গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য রীতিমত চাঁদা তোলা শুরু করে।
- মজিদ আক্কাসকে প্রথমেই দাঁড়ি নিয়ে প্রশ্ন করায় সে হতভম্ব হয়ে যায়। আক্কাসকে নিয়ে বিচার সভায় মজিদ পাকা মসজিদের প্রস্তাব করে স্কুলের বিষয়টি ধামাচাপা দেয়। খালেক ব্যাপারী মসজিদের বারো আনা খরচের দায়িত্ব দেওয়ার অনুরোধ করে। সে আমেনাকে তালাক দিয়ে মনের কষ্ট লাঘবের জন্য মসজিদ নির্মাণে এই সহায়তা করতে চায়।
- মজিদ আসার আগে শিলাবৃষ্টির ভয়ে মানুষ শিরালি (মন্ত্র) ডাকত। নারীদের মধ্যে লজ্জাশীলতা দেখা দিয়েছে। একশ দোররার ভয়ে ব্যভিচার বন্ধ হয়ে গেছে।
- খালেক ব্যাপারী আমেনাকে তালাক দেওয়ায় নতুন চেতনা সঞ্চারিত হয়। সংসার থেকে বাজা বউদের বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে।
- মজিদ যখন জমিলাকে বিয়ে করতে যায় তখন বেড়ার ফাঁক দিয়ে খোদেজা বুবু তাকে দেখে।
- ঘরের ম্লান আলোয় কবরের অনাবৃত অংশটা মৃত মানুষের খোলা চোখ মনে হয়।
- মজিদ সন্তানের কামনা করলে রহিমা হাসুনিকে পুষ্যি রাখার ইচ্ছে করে। কিন্তু মজিদ তাতে বাধা দেয়।
- রহিমার বেদনা ও নিজের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের অভিমানে জমিলার গলা ভারি হয়ে উঠে। কিন্তু সে রহিমাকে বলে যে, বাড়ির জন্য তার প্রাণ জ্বলে।
- অবিশ্রান্ত ঢোল বেজেই চলে ডোমপাড়ায়।
- অল্পবয়সী হওয়ায় মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রী জমিলাকে বেড়ালছানার সাথে তুলনা দেয়া হয়েছে। জমিলাকে দেখে রহিমার শ্বাশুড়ি শ্বাশুড়ি ভাব জাগে। জমিলা প্রথম দিকে খুব লজ্জাবতী ভাব নিলেও কিছুদিন পরেই তার আসল রূপ দেখা যায়। প্রথমে সে ঘোমটা খোলে, তারপর মুখ আড়াল করে হাসতে শুরু করে, তারপর তার মুখে খই ফুটতে থাকে।
- মহব্বতনগরে মজিদের আচরণের বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ করে জমিলা।
- মজিদ জমিলাকে মিথ্যা গল্প শোনায়। সেখানে সে রাতে সিংহের ভয়াবহ গর্জন শুনেছে বলে প্রকাশ করে।
- জমিলার হাড়হীন কোমল হাতকে লইট্টা মাছের সাথে তুলনা দেওয়া হয়েছে।
লেখা: অনুশীলনবিডি (ওমর ফারুক স্যার, এসিএস)
গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: মজিদের মহব্বত নগর গ্রামে প্রবেশটা কেমন ছিল?(ক) অবধারিত (খ) নাটকীয়
(গ) কাব্যিক (ঘ) স্বাভাবিক
উত্তর: নাটকীয়
প্রশ্ন: লালসালু উপন্যাসে মজিদ কীভাবে তার প্রভাব প্রতিষ্ঠিত করে?
(ক) অলৌকিক ভাবে (খ) সকলকে অন্ধ বিশ্বাসে আচ্ছন্ন করে
(গ) ভালো ব্যবহার করে (ঘ) কূটকৌশলে
উত্তর: সকলকে অন্ধ বিশ্বাসে আচ্ছন্ন করে
প্রশ্ন: ‘যেখানে সাপ জাগে, সেখানে আবার কোমলতার ফুল ফোটে।'- লালসালু উপন্যাসের এই বাক্যে 'সাপ' কী অর্থ প্রকাশ করে?
(ক) লালসা (খ) প্রতিহিংসা
(গ) কামনা (ঘ) প্রতিশোধ
উত্তর: লালসা
প্রশ্ন: মহব্বত নগর আগমনের পূর্বে মজিদ কোথায় ছিল?
(ক) গারো পাহাড় (খ) নোয়াখালী
(গ) করিমগঞ্জে (ঘ) সাওতাল পাহাড়
উত্তর: গারো পাহাড়
প্রশ্ন: ধলা মিয়াকে আওয়ালপুরের পীরের কাছে পাঠিয়েছিল কে?
(ক) তনুবিবি (খ) খালেক বেপারি
(গ) রহিমা (ঘ) আমেনা বিবি
উত্তর: খালেক বেপারি
প্রশ্ন: মজিদ ক্রোধে কেমন করে?
(ক) চিৎকার (খ) লাফালাফি
(গ) গো-গো (ঘ) ফোস-ফোস
উত্তর: গো-গো
প্রশ্ন: 'কলমা জানস্ না ব্যাটা?” উক্তিটি কার?
(ক) মজিদ (খ) আক্কাস
(গ) খালেক বেপারি (ঘ) দুদু মিয়া
উত্তর: খালেক বেপারি
প্রশ্ন: রহিমা আমেনা বিবির জন্য শখ করে কী রান্না করেছিল?
(ক) সেমাই (খ) পায়েস
(গ) ফিরনি (ঘ) ক্ষীর
উত্তর: ফিরনি
প্রশ্ন: 'তোরে না বুইঝা কষ্ট দিছি হে-দিন'— কাকে কষ্ট দিয়েছে?
(ক) রহিমা (খ) হাসুনির মা
(গ) জামেলা (ঘ) আমেনা
উত্তর: হাসুনির মা
প্রশ্ন: 'লালসালু' উপন্যাসের মজিদের মধ্যে কোনটি অনুপস্থিত?
(ক) প্রতিহিংসা (খ) দয়ামায়া
(গ) সংগ্রামশীলতা (ঘ) কপটতা
উত্তর: দয়ামায়া
প্রশ্ন: 'লালসালু' উপন্যাসে খালেক ব্যাপারীর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর নাম কী?
(ক) জমিলা (খ) আমেনা
(গ) রহিমা (ঘ) তানুবিবি
উত্তর: আমেনা
প্রশ্ন: 'রোগা মানুষ সমস্ত রাত খেতে পারবে না' এখানে কোন খাবারের কথা বলা হয়েছে?
(ক) লুচি (খ) অন্ন
(গ) রুটি (ঘ) সন্দেশ
উত্তর: রুটি
প্রশ্ন: 'তোমার দাড়ি কই মিঞা' কার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে?
(ক) মজিদ (খ) আক্কাস
(গ) মোদাব্বের মিঞা (ঘ) ধলা মিঞা
উত্তর: আক্কাস
প্রশ্ন: 'বিশ্বাসের পাথরে যেন খোদাই সে-চোখ।' কাদের কথা বলা হয়েছে?
(ক) যারা আল্লাহর উপর ভরসা রাখেনা (খ) যারা নাফরমানি করে
(গ) খেতের প্রান্তে জড়ো হওয়া লোকজন (ঘ) মোদাচ্ছের পীরের মাজারবিশ্বাসী লোকজন
উত্তর: খেতের প্রান্তে জড়ো হওয়া লোকজন
প্রশ্ন: অন্ধকারে মজিদের চোখ কীসের মতে চকচক করে?
(ক) আগুনের (খ) সাপের
(গ) ফসলের (ঘ) ধানের
উত্তর: সাপের
প্রশ্ন: ছোটোবেলায় নাকে নোলক পরে হলদে শাড়ি পেঁচিয়ে ছোটাছুটি করত কে?
(ক) জমিলা (খ) রহিমা
(গ) হাসুনির মা (ঘ) আমেনা
উত্তর: রহিমা
প্রশ্ন: 'লালসালু' উপন্যাসে ঝড় এলে হৈ হৈ করার অভ্যাস কার?
(ক) হাসুনির মা (খ) রহিমা
(গ) মজিদ (ঘ) জমিলা
উত্তর: হাসুনির মা
প্রশ্ন: প্রিয় পয়গম্বরের বাণী এল কত হিজরিতে?
(ক) চতুর্থ (খ) পঞ্চম
(গ) ষষ্ঠ (ঘ) সপ্তম
উত্তর: পঞ্চম
প্রশ্ন: 'পাথর এবার হঠাৎ নড়ে।'- এখানে 'পাথর' কে?
(ক) মজিদ (খ) আমেনা বিবি
(গ) রহিমা (ঘ) জমিলা
উত্তর: মজিদ
প্রশ্ন: 'কিন্তু দেশটা কেমন মরার দেশ'—বলার কারণ কী?
(ক) মানুষহীন (খ) কর্মহীন
(গ) ধর্মহীন (ঘ) শস্যহীন
উত্তর: শস্যহীন
প্রশ্ন: 'লালসালু' উপন্যাসের মজিদ চরিত্র কোন প্রকৃতির?(ক) অস্তিত্বকামী (খ) ধূর্ত
(গ) বিচক্ষন (ঘ) মনস্তাত্ত্বিক
উত্তর: ধূর্ত
প্রশ্ন: সহজ প্রানধর্মের উজ্জ্বল প্রতীক কে?
(ক) রহিমা (খ) জমিলা
(গ) আমেনা (ঘ) তানু বিবি
উত্তর: জমিলা
প্রশ্ন: কলমা জানস ব্যাটা? উক্তিটি কার?
(ক) মজিদ (খ) আক্কাস
(গ) খালেক ব্যাপারি (ঘ) দুদু মিঞা
উত্তর: খালেক ব্যাপারি
প্রশ্ন: খোলা মাঠে হাড় কাপায় কোন মাসের শীত?
(ক) অগ্রহায়ণ (খ) পৌষ
(গ) মাঘ (ঘ) ফাল্গুন
উত্তর: অগ্রহায়ণ
প্রশ্ন: মজিদ তার দুই স্ত্রীর মধ্যে কার চোখে ভয় দেখেছে?
(ক) জমিলার (খ) আমেনার
(গ) রহিমার (ঘ) হাসুনির মা
উত্তর: রহিমার
প্রশ্ন: হাসুনির মা বাড়িতে যেতে চায় না কেন?
(ক) স্বামীর ভয়ে (খ) বাবার ভয়ে
(গ) মায়ের ভয়ে (ঘ) ভাইয়ের ভয়ে
উত্তর: বাবার ভয়ে
প্রশ্ন: ঢেঙা বুড়োর অন্তরে কি বিদ্যমান?
(ক) হিংসা (খ) লোভ
(গ) কুসংস্কার (ঘ) অবিশ্বাস
উত্তর: অবিশ্বাস
প্রশ্ন: হাসুনির মায়ের ক্ষেত্রে কোনটি গ্রহনযোগ্য?
(ক) নব বিবাহিতা (খ) সধবা
(গ) বিধবা (ঘ) শক্তিধর
উত্তর: বিধবা
প্রশ্ন: 'পাথর এবার হঠাৎ নাড়ে।' এখানে 'পাথর' কে?
(ক) মজিদ (খ) আমেনা বিবি
(গ) রহিমা (ঘ) জামিলা
উত্তর: মজিদ
প্রশ্ন: রহিমাকে ধান সিদ্ধ করতে কে সাহায্য করে?
(ক) রাবেয়া (খ) জামিলা
(গ) জমিরের মা (ঘ) হাসুনির মা
উত্তর: হাসুনির মা
প্রশ্ন: দেশে দেশে পীরদের সফর শুরু হয় কখন?
(ক) ধানের মৌসুমে (খ) দুর্ভিক্ষের সময়
(গ) গায়েবি নির্দেশ পেলে (ঘ) মুরিদদের আহবান পেলে
উত্তর: ধানের মৌসুমে
প্রশ্ন: ঝড় এলে হাসুনির মায়ের কি করার অভ্যাস?
(ক) স্বামীর চিন্তা (খ) মাজারের চিন্তা
(গ) হই হই করা (ঘ) সংসারের চিন্তা
উত্তর: হই হই করা
প্রশ্ন: দুর্লঙ্ঘনীয় রহস্যে আবৃত কি?
(ক) মাজার (খ) মজিদ চরিত্র
(গ) রহিমা (ঘ) খালেক ব্যাপারি
উত্তর: মাজার
প্রশ্ন: রহিমার শরীর ভরা কিসের গন্ধ?
(ক) সুগন্ধির (খ) আগরবাতির
(গ) ধানের (ঘ) ফুলের
উত্তর: ধানের
প্রশ্ন: মজিদের ডাকের স্বরে সর্বদা কোন বিষয়টি বিদ্যমান?
(ক) মধু (খ) হিংসা
(গ) করূণা (ঘ) প্রভুত্ব
উত্তর: প্রভুত্ব
প্রশ্ন: রহিমা কোন মাসে ধান সিদ্ধ করে?
(ক) জৈষ্ঠ্য (খ) পৌষ
(গ) মাঘ (ঘ) কার্তিক
উত্তর: পৌষ
প্রশ্ন: মজিদ হাসুনির মাকে কি রঙ এর শাড়ি কিনে দিয়েছিলো?
(ক) লাল (খ) সাদা
(গ) বেগুনি (ঘ) হলিফ
উত্তর: বেগুনি
প্রশ্ন: আমেনা বিবির ক্ষেত্রে কোনটি গ্রহনযোগ্য?
(ক) অশান্ত (খ) স্বামীভীরূ
(গ) বদমেজাজি (ঘ) সমাজ-বিদ্বেষী
উত্তর: স্বামীভীরূ
প্রশ্ন: মহব্বতনগর গ্রামে সচ্ছলতার শিকড়গাড়া বৃক্ষ কে?
(ক) মজিদ (খ) খালেক ব্যাপারি
(গ) মতলুব খা (ঘ) ঢেঙা বুড়ো
উত্তর: মজিদ
প্রশ্ন: খালেক ব্যাপারির গলায় শিশুর ভাব আসে কেন?
(ক) ভয়ে (খ) ক্রোধে
(গ) সন্দেহে (ঘ) বিশ্বাসে
উত্তর: সন্দেহে