লালসালু উপন্যাসের প্রশ্ন-উত্তর
লালসালু উপন্যাস প্রশ্ন উত্তর |
এইচএসসি পরিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষার্থীদের জন্য সৈয়দ ওয়ালিউল্লার রচিত লালসালু উপন্যাস থেকে বিগত বছরে বোর্ডে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষাতে আসা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
প্রশ্নোত্তর গুলোর পিডিএফ ডাউনলোড লিংক এই আর্টিকেলের সর্বশেষে দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষায় আসা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
১. ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টের নাম কী? [কুবো-১৭, ১৯ চবো-১৭, সিবো-২৩]
উত্তর: ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টের নাম মতলুব খাঁ।
২. কলমা জানো মিঞা?- মজিদ প্রশ্নটি কাকে করেছে? [কুবো-১৭]
উত্তর: দুদু মিঞাকে প্রশ্নটি করেছে।
৩. রহিমার পেটে কয়টি প্যাঁচ? [যবো-১৬, দিবো-১৭]
উত্তর: চৌদ্দটি প্যাঁচ।
৪. মজিদকে প্রথম দেখে জমিলার কী মনে হয়েছিল? [চবো-১৭)
উত্তর: বরের বাবা মনে হয়েছিল ।
৫. খালেক ব্যাপারীর দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম কি? [যবো-১৭, চবো-১৬, রাবো-১৯, কুবো-১৯]
উত্তর: খালেক ব্যাপারীর দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম তানু বিবি।
৬. ধলা মিয়া কার ভাই? [চবো-১৭]
উত্তর: ধলা মিয়া খালেক ব্যাপারীর দ্বিতীয় স্ত্রী তানু বিবির ভাই।
৭. লালসালু উপন্যাসের ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টের নাম কী?
উত্তর: লালসালু উপন্যাসে উল্লিখিত ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টের নাম- মতলুব খাঁ।
৮. মরা মানুষ জিন্দা হয় কেমনে- উক্তিটি কার? [ববো-১৭,কুবো-১৬]
উত্তর: মরা মানুষ জিন্দা হয় কেমন- উক্তিটি মজিদের।
৯. নিরাক পড়া- শব্দের অর্থ কী? [ববো-১৭]
উত্তর: বাতাসহীন স্তব্ধ গুমোট আবহাওয়া।
১০. মজিদ সবাইকে কী বলে সম্বোধন করে থাকেন? [যবো-১৭]
উত্তর: মজিদ সবাইকে মিঞা বলে সম্বোধন করে থাকেন।
১১. মতিগঞ্জের সড়কটা দিয়ে দলে-দলে লোক কোনদিকে চলছে? [সিবো-১৭]
উত্তর: উত্তর দিকে চলছে।
১২. হুড়কা শব্দের অর্থ কী? [সিবো-১৭] উত্তর: হুড়কা শব্দের অর্থ খিল।
১৩. নিরাক পড়া কী? [যবো-১৭]
উত্তর: বাতাসহীন নিস্তব্ধ গুমোট আবহাওয়া।
১৪. ধলা মিয়া কে? [রাবো-১৭]
উত্তর: খালেক ব্যাপারীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী তানু বিবির বড় ভাই।
১৫. ডোমপাড়া থেকে কীসের শব্দ ভেসে আসে? [দিবো-১৭]
উত্তর: ডোমপাড়া থেকে ঢোলকের শব্দ ভেসে আসে।
১৬. তাহের আর কাদের মজিদকে প্রথম কোথায় দেখেছিল? [ঢাবো-১৭]
উত্তর: তাহের আর কাদের মজিদকে প্রথম দেখেছিল মতিগঞ্জের সড়কের ওপরে।
১৭. ‘মরা মানুষ জিন্দা হয় ক্যামনে?’- উক্তিটি কার? [সবো-১৮]
উত্তর: মজিদের।
১৮. আক্কাস গ্রামে কী প্রতিষ্ঠা করতে চেয়ে ছিল? [সবো-১৮]
উত্তর : স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।
১৯. কে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত? [ঢাবো-১৯]
উত্তর: খেতানির মা।
২০. গারো পাহার মধুপুর থেকে কয় দিনের পথ? [ঢাবো-১৯]
উত্তর: তিন দিনের পথ।
২১. লালসালু’ কোন ধরণের উপন্যাস? [ঢাবো-১৯]
উত্তর: সমাজিক সমস্যামূলক উপন্যাস।
২২. কত বছর বয়সে আমেনা বিবির বিয়ে হয়েছিল? [যবো-১৯]
উত্তর: তের বছর বয়সে।
২৩. মজিদ কেন হাসপাতালে গিয়েছিল? [যবো-১৯]
উত্তর: আহত ব্যক্তিদের দেখতে।
২৪. ‘বেচাইন’ শব্দের অর্থ কী? [চবো-১৯]
উত্তর: অস্থির।
২৫. আক্কাসের বাবার নাম কী?
উত্তর: মোদাব্বের মিয়া।
২৬. কে জমিলাকে প্রথম মজিদকে দেখায়? [সিবো-১৯]
উত্তর: খোদেজা।
২৭. সাত ছেলের বাপের নাম কী? [ববো-১৯]
উত্তর: দুদু মিয়া।
২৮. কাদেরের ছোট ভাইয়ের নাম কী? [দিবো-১৯]
উত্তর: রতন।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
লেখক পরিচিতি।
১. সৈয়দ ওয়ালীয়উল্লাহ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: চট্টগ্রামের ষোল শহরে।
২. সৈয়দ ওয়ালীয়উল্লাহ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৯২২ সালে জন্ম গ্রহণ করেন।
৩. সৈয়দ ওয়ালীয়উল্লাহ কোন মাসের কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ জন্ম গ্রহণ করেন।
৪. সৈয়দ ওয়ালীয়উল্লাহ’র বাবার নাম কী ছিল?
উত্তর: সৈয়দ আহমদ উল্লাহ।
৫. সৈয়দ ওয়ালীয়উল্লাহ কত সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন?
উত্তর: ১৯৪১ সালে।
৬. সৈয়দ ওয়ালীয়উল্লাহ কত সালে বিএ পাস করেন?
উত্তর: ১৯৪৩ সালে।
৭. সৈয়দ ওয়ালীয়উল্লাহ কোন বিষয়ে এমএ পড়ার জন্য কলকাতা বিশ্বাবিদ্যালয়ে ভর্তি হন?
উত্তর: অর্থনীতি।
৮. সৈয়দ ওয়ালীয়উল্লাহ কোন ইংরেজি পত্রিকার সাব-এডিটর ছিলেন?
উত্তর: ‘দি স্টেটস্ম্যান’-এর।
৯. সৈয়দ ওয়ালীয়উল্লাহ কত সালে বাংলাদেশ বেতারের বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন?
উত্তর: ১৯৪৭ সালে।
১০. সৈয়দ ওয়ালীয়উল্লাহ’র মৃত্যু তারিখ কত?
উত্তর: ১০/১০/১৯৭১
১১. সৈয়দ ওয়ালীয়উল্লাহ’র গল্পগ্রন্থগুলোর নাম লেখ।
উত্তর: নয়নচারা (১৯৪৬) এবং দুই তীর ও অন্যান্য গল্প (১৯৬৫)।
১২. সৈয়দ ওয়ালীয়উল্লাহ’র উপন্যাসগুলোর নাম লেখ।
উত্তর: লালসালু (১৯৪৮) চাঁদের অমাবস্যা (১৯৬৪) ও কাঁদো নদী কাঁদো (১৯৬৮)।
১৩. সৈয়দ ওয়ালীয়উল্লাহ’র নাটকগুলোর নাম লেখ।
উত্তর: বহিপীর, তরঙ্গভঙ্গ, উজানে মৃত্যু ও সুড়ঙ্গ।
১৪. সৈয়দ ওয়ালীয়উল্লাহ’র সাহিত্যের মূল বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: ব্যক্তি ও সমাজের ভেতর ও বাইরের সূ² ও গভীর রহস্য উন্মোচন।
১৫. উপন্যাসের আক্ষরিক অর্থ কী?
উত্তর: উপযুক্ত বা বিশেষ রূপে স্থাপন।
১৬. ‘উপন্যাস’এর ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
উত্তর: ‘উপন্যাস’এর ইংরেজি প্রতিশব্দ : ‘ঘড়াবষ’
১৭. ‘Novel শব্দের আভিধানিক অর্থ কী?
উত্তর: ‘Novel শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো: a fictitious prose narrative or tale presenting picture of real life of the men and women portrayed.
১৮. কোন শতকে বাংলা উপন্যাস লেখার সূচনা ঘটে?
উত্তর: উনিশ শতকে।
১৯. প্যারীচাঁদ মিত্রের ছদ্ম নাম কী?
উত্তর: টেকচাঁদ ঠাকুর।
২০. প্যারীচাঁদ মিত্রের উপন্যাস ধর্মী রচনা ‘আলালের ঘরের দুলাল’ কত সালে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ১৮৫৮ সালে।
২১. বঙ্কিমচন্দ্র রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস ‘দুর্গেশনন্দিনী’ কত সালে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ১৮৬৫ সালে।
২২. ‘লালসালু’ উপন্যাস কত সালে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত হয়।
২৩. ‘লালসালু’ উপন্যাস কোথা থেকে কে প্রথম প্রকাশ করেন?
উত্তর: কমরেড পাবলিশার্স-এর সত্তাধিকারী আতাউল্লাহ ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশ করেন।
২৪. ‘লালসালু’ উপন্যাসের উর্দু অনুবাদ কী নামে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: Lal Shal নামে প্রকাশিত হয়।
২৫. ‘লালসালু’ উপন্যাসের উর্দু অনুবাদ কোথা থেকে কবে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ১৯৬০ সালে করাচি থেকে প্রকাশিত হয়।
২৬. ‘লালসালু’ উপন্যাসের উর্দু অনুবাদ কে প্রকাশ করেন?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের উর্দু অনুবাদ করেন কলিমুল্লাহ।
২৭. ‘লালসালু’ উপন্যাসের ফরাসি অনুবাদ কোথা থেকে কবে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের ফরাসি অনুবাদ প্যারিস থেকে ১৯৬১ সালে প্রকাশিত হয়।
২৮. ‘লালসালু’ উপন্যাসের ফরাসি অনুবাদ কে করেন?
উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ-র সহধর্মিণী অ্যান-মারি-থিবো।
২৯. ‘লালসালু’ উপন্যাসের ফরাসি অনুবাদের নাম কী?
উত্তর: L’arbre sans racines
৩০. ‘লালসালু’ উপন্যাসের ফরাসি অনুবাদ কোথা থেকে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের ফরাসি অনুবাদ কোথা থেকে প্রকাশিত হয়: প্যারিসের Editions du Seuil প্রকাশনী থেকে।
৩১. ‘লালসালু’ উপন্যাসের ফরাসি অনুবাদের পরিমার্জিত ও পরিবর্তিত সংস্করণ কত সালে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ১৯৬৩ সালে।
৩২. ‘লালসালু’ উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ কোথা থেকে কবে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: লন্ডন থেকে থেকে ১৯৬৭ সালে Chatto and Windus Ltd. শীর্ষক প্রকাশনা সংস্থা প্রকাশ করে।
৩৩. ‘লালসালু’ উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদের নাম কী?
উত্তর: Tree without Roots.
৩৪. ‘লালসালু’ উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ কে করেন?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ নিজেই করেন।
৩৫. উর্দু, ফরাসি ও ইংরেজি ছাড়া ‘লালসালু’ উপন্যাস আর কী কী ভাষায় অনূদিত হয়?
উত্তর: উর্দু, ফরাসি ও ইংরেজি ছাড়া ‘লালসালু’ উপন্যাস চেক ও জার্মান ভাষাসহ অন্যান্য ভাষায় অনূদিত হয়।
মূল পাঠেরর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
১. ‘লালসালু’ উপন্যাসের নায়ক কে?
উত্তর: মজিদ।
২. মজিদের জন্ম কেমন অঞ্চলে?
উত্তর: শস্যহীন জনবহুল অঞ্চলে।
৩. ‘তাই তারা ছোটে, ছোটে।’- কারা ছোটে?
উত্তর: মজিদের জন্মভূমির লোকেরা।
৪. মজিদের জন্মভূমির লোকেরা কেন দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমায়?
উত্তর: জীবিকার সন্ধানে।
৫. ‘বয়স হলে এরা আর কিছু না হোক শক্ত করে গিরেটা দিতে শেখে।’- কারা শক্ত করে গিরেটা দিতে শেখে?
উত্তর: মজিদের জন্মভূমির লোকেরা।
৬. মজিদের জন্মভূমি অঞ্চলে আসা রেলগাড়ি কীসের মতো দীর্ঘ?
উত্তর: অজগরের মতো দীর্ঘ ।
৭. লালসালু উপন্যাসে বর্ণিত মক্তবে ভোরবেলায় ল্যাংটা ছেলেরা কী পড়ে?
উত্তর: ভোরবেলায় ল্যাংটা ছেলেরা আমসিপাড়া পড়ে।
৮. ‘শষ্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি।’- কোন অঞ্চল সম্বন্ধে বলা হয়েছে?
উত্তর: মজিদের জন্মভূমি অঞ্চল সম্বন্ধে বলা হয়েছে।
৯. ’কিন্তু দেশটা কেমন মরার দেশ।’- কোন দেশটা?
উত্তর: মজিদের জন্মভূমি অঞ্চল।
১০. গাড়ো পাহাড়ের মসজিদ কীসের তৈরি?
উত্তর: বাঁশের তৈরি।
১১. গাড়ো পাহাড়ে কে শিকার করতে আসেন?
উত্তর: এক সরকারি কর্মকর্তা শিকার করতে আসেন।
১২. ‘নাম শুনে মৌলবির চোখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।’- এখানে মৌলবি কে?
উত্তর: মজিদ।
১৩. ‘গভীর রাতে হয়ত চোখের কোণটা চকচক করে ওঠে বাড়ির ভিটেটার জন্যে।’- কার চোখের কোণাটা?
উত্তর: মজিদের।
১৪. মজিদ বাংলা কোন মাসে মহব্বত নগর গ্রামে প্রবেশ করে?
উত্তর: শ্রাবণ মাসে।
১৫. মহব্বতনগরের লোকজন কখন মাছ ধরতে বের হয়?
উত্তর: নিরাকপড়া দুপুরে মাছ ধরতে বের হয়।
১৬. তাহের কাদের কী মাছ শিকার করে?
উত্তর: রুই মাছ।
১৭. মজিদ মহব্বত নগর গ্রামে প্রবেশের পূর্বে কোন সড়কে মোনাজাতের ভঙ্গিতে দাড়িয়ে থাকে?
উত্তর: মতিগঞ্জের সড়কে।
১৮. তাহের আর কাদের মজিদকে প্রথমে কোথায় দেখেছিল?
উত্তর: মহিগঞ্জের সড়কে।
১৯. মতিগঞ্জের সড়কের কোন দিকে মহব্বত নগর গ্রাম?
উত্তর: উত্তর দিকে।
২০. মহব্বত নগর গ্রামের অশীতিপর বৃদ্ধ কে?
উত্তর: সলেমানের বাপ।
২১. মহব্বত নগর গ্রামের অশীতিপর বৃদ্ধ সলেমানের বাপ কোন রোগে আক্রান্ত?
উত্তর: হাঁপানি রোগে আক্রান্ত।
২২. কল্পিত মোদাচ্ছের পিরের মাজারটি মহব্বতনগরের কোথায় ছিল?
উত্তর: মহব্বতনগর গ্রামের প্রান্তের পুকুর পাড়ে ছিল।
২৩. কল্পিত মোদাচ্ছের পিরের কবরটির ভেতরটা দেখতে কীসের মতো?
উত্তর: কবরটির ভেতরটা দেখতে সুড়ঙ্গের মতো।
২৪. মজিদ গারো পাহাড়ের যে স্থানে ছিল তা মধুপুরের গড় থেকে কয় দিনের পথ?
উত্তর: তিন দিনের পথ।
২৫. ‘তারা বর্বর হলে কী হবে, দিল তাদের সাচ্চা, খাঁটি সোনার মতো।’- এই তারা কারা?
উত্তর: মজিদের কথিত গারো পাহাড়ের লোকজন।
২৬. ‘দুনিয়ায় সচ্ছলভাবে দু-বেলা খেয়ে বাঁচবার জন্যে যে খেলা খেলতে যাচ্ছে সে খেলা সাংঘাতিক।’- এখানে ‘সে’ কে?
উত্তর: মজিদ।
২৭. ‘আসলে সে ঠাÐা, ভীতু মানুষ।’ এই মানুষটি কে?
উত্তর: রহিমা।
২৮. ‘অমন করি কখনো হাঁটিও না। কবরে আজাব হইবে।’- এটি কার উক্তি?
উত্তর: মজিদের উক্তি।
২৯. ‘ একটা চমৎকার সুরে সারা বাড়ি ভরে যায়। যেন হাস্নাহেনার মিষ্টি মধুর গন্ধ ছড়ায়।’- এখানে কোন সুরের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: মজিদের কোরআন পড়ার সুরের কথা।
৩০. কোন মাসে মহব্বত নগর গ্রামের লোকজন কোমর পানিতে নেমে জমি পরিষ্কার করে?
উত্তর: কার্তিক মাসে।
৩১. খরার সময় মহব্বতনগরে গ্রামের লোকজন কোথা থেকে কোঁদে কোঁদে পানি তোলে?
উত্তর: বিল থেকে।
৩২. মহব্বতনগরের জমি থেকে কখন ধান উঠে?
উত্তর: চৈত্রের শেষ, বৈশাখের শুরুতে ধান উঠে।
৩৩. কখনও কখনও কীসে জমির ধান নষ্ট করে দেয়?
উত্তর: ঝড়ে ও শিলাবৃষ্টিতে।
৩৪. মহব্বতনগর গ্রামের কে কোচবিদ্ধ হয়ে মারা যায়?
উত্তর: ছমিরুদ্দিন।
৩৫. কোচবিদ্ধ হয়ে নিহত ছমিরুদ্দিনের রক্তাপ্লুত দেহের পানে চেয়ে কাদের মনে দানবীয় উল্লাস হয়?
উত্তর: আবেদ-জাবেদের।
৩৬. ধান কাটার সময় মজুররা কী করে?
উত্তর: গীত গায়।
৩৭. কোন দৃশ্য মজিদের কাছে ভালা লাগে না?
উত্তর: গ্রামবাসীর হাসি-গান মজিদের কাছে ভালো লাগে না
৩৮. কে জমিকে ধন মনে করে না?
উত্তর: মজিদ জমিকে ধন মনে করে না।
৩৯. ঝালরওয়ালা সালুকাপড়ে আবৃত মাজারটিকে কাদের হাসি আর গীত অবজ্ঞা করে?
উত্তর: জমির ধান কাটায় রত মজুরদের হাসি আর গীত মাজারটিকে অবজ্ঞা করে।
৪০. মাঠ ভরা ধান দেখে যাদের মনে পূজার ভাব জাগে মজিদ তাদের কী বলে?
উত্তর: তাদের মজিদ ভূত-পুজারী বলে।
৪১. খরা পড়লে গ্রামের মানুষ খতম পড়ানোর জন্য কার কাছে ছুটে যায়?
উত্তর: মজিদের কাছে ছুটে যায়।
৪২. দুদু মিয়া কয় ছেলের বাপ?
উত্তর: সাত ছেলের বাপ।
৪৩. মহব্বতনগর গ্রামের কে কলমা জানে না।
উত্তর: সাত ছেলের বাপ দুদু মিয়া কলমা জানে না।
৪৪. ‘কলমা জানো মিঞা?’- এটি কার প্রতি কার উক্তি?
উত্তর: মজিদের উক্তি, সাত ছেলে বাপ দুদু মিয়ার প্রতি।
৪৫. মহব্বতনগর গ্রামে কে মক্তব দিয়েছে?
উত্তর: খালেক ব্যাপারি।
৪৬. ‘গরিব মানুষ, খাইবার পাই না।’-এই গরিব মানুষটি কে?
উত্তর: সাত ছেলের বাপ দুদু মিঞা।
৪৭. ‘কোন মারুফ ওখানে ঘুমিয়ে আছেন।’ এখানে ‘মারুফ’ কে?
উত্তর: এখানে মারুফ কথিত মোদাচ্ছের পীর।
৪৮. ‘তার সন্তান নেই; সন্তানশূন্য কোলটি খাঁ-খাঁ করে।’- এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: রহিমার কথা বলা হয়েছে।
৪৯. রহিমা অতি সঙ্গোপনে মাজারে কী আর্জি জানায়?
উত্তর: সন্তানের আর্জি জানায়।
৫০. ও পাড়ার কে মরণরোগে যন্ত্রণা পাচ্ছে ?
উত্তর: ছুনুর বাপ মরণরোগে যন্ত্রণা পাচ্ছে।
৫১. ‘লালসালু’ উপন্যাসে কে পক্ষাঘাতে কষ্ট পাচ্ছে?
উত্তর: খেতানির মা।
৫২. মহব্বতনগর গ্রামের কয় গ্রাম পরে বড় নদী অবস্থিত?
উত্তর: চার গ্রাম পরে বড় নদী।
৫৩. ‘ঘরে স্ত্রী-পুত্র রেখে নৌকা নিয়ে যারা নদীতে যায় তাদের ওপর যেন তোমার রহমত হয়।’- এই প্রার্থনা কার?
উত্তর: এই প্রার্থনা রহিমার।
৫৪. হাসুনির মা কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করে?
উত্তর: ধান ভেনে।
৫৫. হাসুনির মা রহিমার মাধ্যমে মজিদের কাছে প্রথমে কী আর্জি জানায়?
উত্তর: প্রথমে নিজের মওতের আর্জি জানায়।
৫৬. হাসুনির মা রহিমার মাধ্যমে মজিদের কাছে দ্বিতীয় বার কী আর্জি জানায়?
উত্তর: দ্বিতীয় বার বাবা-মায়ের মওতের আর্জি জানায়।
৫৭. ‘দুইটার লাঠালাঠি চুলাচুলি আর ভালো লাগে না।’- এখানে ‘দুইটা’ কে?
উত্তর: এখানে দুইটা হলো হাসুনির মায়ের বাবা-মা।
৫৮. কাকে নিকা করার কথা হাসুনির মায়ের মনে জাগে?
উত্তর: ঐ বাড়ির মানুকে।
৫৯. তাহের-কাদেরের বাপ কার সাথে মামলা-মোকদ্দমা করে নিঃস্ব হয়েছে?
উত্তর: বৈমাত্রেয় ভাইয়ের সাথে মামলা করে।
৬০. ‘আজ তার সুন্দর দেহমন পচে গিয়ে এই হাল হয়েছে।’- এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: তাহের কাদেরের মায়ের কথা।
৬১. ‘কথায় কথায় ঠোঁট ফুলাবে, লুটিয়ে পড়ে কাঁদবে-এমন একটা বৌ এর স্বপ্ন দেখতো প্রথম যৌবনে।’- ‘লালসালু’ উপন্যাসে এই স্বপ্ন কার?
উত্তর: মজিদের।
৬২. ‘দোষ গুণে সৃষ্ট মানুষ। মানুৃষের মধ্যে তাই শয়তান আছে, ফেরেস্তাও আছে।’- এই উক্তি কার?
উত্তর: মজিদের।
৬৩. ‘কুৎসা রচনাটা বড় গর্হিত কাজ।’- এই উক্তি কার?
উত্তর: মজিদের।
৬৪. ‘মানুষের রসনা বড় ভয়ানক বস্তু; সে রসনা বিষাক্ত সাপের রসনার চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারে।’- এই উক্তি কার?
উত্তর: মজিদের।
৬৫. কাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে ফেরার সময় বিবি আয়শা (রা.) দলচ্যুত হয়ে পড়েন?
উত্তর: মুস্তালিখ-এর বিরুদ্ধে লড়াই করে ফেরার সময়।
৬৬. তাহের-কাদেরের বাপ-মার ঝগড়া নিয়ে দরবারে মজিদ কোন সুরা থেকে তেলওয়াত করে?
উত্তর: সুরা আন্-নূর থেকে তেলওয়াত করে।
৬৭. ‘বউ আজ শুধু কঙ্কাল, পচনধরা মাংসের রদ্দি খোলস-’- এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: তাহের- কাদেরের মায়ের কথা।
৬৮. ‘তোমার দিলে কি ময়লা আছে?’- এটি কার উক্তি, কার প্রতি?
উত্তর: মজিদের উক্তি, তাহের-কাদেরের বাপের প্রতি।
৬৯. মজিদ তাহেরকাদেরের বাপের বিচার করে মাজারে কয় পয়সার সিন্নি দিতে বলে?
উত্তর: পাঁচ পয়সার।
৭০. মজিদের বিচারের পর অপমানে তাহের-কাদেরের বাপ কয় দিন না খেয়ে থাকে?
উত্তর: দুই দিন।
৭১. ‘কিন্তু সে- প্রশ্ন দ্বিতীয়বার চাঁদের মতো ক্ষীণ, উঠেই ডুবে যায়’- কোন প্রশ্ন?
উত্তর: তাহের কাদেরের বাপ হারিয়ে যাওয়ার প্রশ্ন।
৭২. ‘খেলোয়াড় চলে গেছে, খেলবে কার সাথে।’-এখানে খেলোয়ার কে?
উত্তর: তাহের কাদেরের বাপ।
৭৩. হাসুনির মাকে মজিদ কী রঙের শাড়ি কিনে দেয়?
উত্তর: বেগুনি রঙের।
৭৪. মজিদের দেয়া হাসুনির মায়ের শাড়ির পাড়ের রং কী ছিল?
উত্তর: কালো।
৭৫. মজিদ গ্রামের সবাইকে কী বলে সম্বোধন করে?
উত্তর: মিঞা বলে সম্বোধন করে।
৭৬. ‘লোকটি ... যাবার আগে হঠাৎ এমন একটা কথা বলে যে, মজিদ যেখানে দাঁড়িয়েছিল সেখানেই বৃক্ষের মতো দাঁড়িয়ে থাকে অনেকক্ষণ।’- কথাটি কী?
উত্তর: আওয়ালপুরের পির সাহেবের আগমনের কথা।
৭৭. মতিগঞ্জের সড়কটা দিয়ে লোকজন কোন দিকে চলছে?
উত্তর: মতিগঞ্জের সড়কটা দিয়ে লোকজন উত্তর দিকে চলছে।
৭৮. ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টের নাম কী?
উত্তর: মতলুব খাঁ।
৭৯. আওয়ালপুরের পির সাহেবের পুরানো মুরিদ কে?
উত্তর: ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট মতলুব খাঁ।
৮০. আওয়াল পুরের পির সাহেব কার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
উত্তর: ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট মতলুব খাঁর বাড়িতে।
৮১. আওয়ালপুরের পির সাহেবের পূর্বপুরুষরা কোথা থেকে এ উপমহাদেশে এসেছিল?
উত্তর: মাধ্যপ্রাচ্য থেকে।
৮২. আওয়ালপুরের পির সাহেবের পূর্বপুরুষরা কী উদ্দেশ্যে এই উপমহাদেশে এসেছিল?
উত্তর: খোদার বাণী প্রচার করার উদ্দেশ্যে।
৮৩. আওয়ালপুরের পির সাহেবের পূর্বপুরুষদের আগমন সময়কে কোন বাদশার মৃত্যুর সঙ্গে মিলিয়ে স্মরণ করা হয়?
উত্তর: জনৈক পাঠান বাদশার মৃত্যুর সঙ্গে মিলিয়ে স্মরণ করা হয়।
৮৪. আওয়ালপুরের পির সাহেবের পূর্ব পুরুষগণ বংশানুক্রমে কোন জেলায় বসবাস করতেন?
উত্তর: ময়মনসিংহ জেলায়।
৮৫. আওয়ালপুরের পির সাহেব কোথা থেকে উর্দু জবান এস্তেমাল করে এসেছে?
উত্তর: উত্তর ভারতের কোনো এক স্থান থেকে।
৮৬. ‘ মরা মানুষ জিন্দা হয় ক্যামনে?’ এটি কার উক্তি?
উত্তর: মজিদের উক্তি, রহিমার প্রতি।
৮৭. ‘এ বিচিত্র বিশাল দুনিয়ায় কি যাবার জায়গার কোনো অভাব আছে?’-এটি কার প্রশ্ন?
উত্তর: মজিদের।
৮৮. ‘যেন বিশাল সূর্যোদয় হয়েছে, আর সে আলোয় প্রদীপের আলো নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।’- এখানে সূর্য কে, আর প্রদীপ কে?
উত্তর: সূর্য আওয়াল পুরের পির এবং প্রদীপ মজিদ।
৮৯. কীসের আলোয় প্রদীপের আলো নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে?
উত্তর: সূর্যের আলোয়।
৯০. ‘সোহবতে সোয়ালে তুরা সোয়ালে কুনাদ’- ফারসি ভাষায় রচিত এই বাক্যটির বাংলা অর্থ কী?
উত্তর: এর বাংলা অর্থ হলো: সুসঙ্গ মানুষকে ভালো করে।
৯১. ‘সোহবতে তোয়ালে তুরা তোয়ালে কুনাদ’- ফারসি ভাষায় রচিত এই বাক্যটির বাংলা অর্থ কী?
উত্তর: বাংলা অর্থ : কুসঙ্গ তেমনি তাকে আবার খারাপ করে।
৯২. ‘-যতসব শয়তানি, বেদাতি কাজ কারবার। খোদার সঙ্গে মস্করা!’- এটি কার উক্তি?
উত্তর: মজিদের উক্তি।
৯৩. আওয়ালপুরের সাঙ্গপাঙ্গরা মহব্বতনগর গ্রামের কার মাথা দু’ফাক করে দিয়েছিল?
উত্তর: কালু মিঞার।
৯৪. ‘কথাটা অবশ্য মিথ্যে; এবং সজ্ঞানে সুস্থ দেহে মিথ্যে কথা কয় বলে মনে মনে তওবা কাটে।’- এখানে ‘কথাটা’ কী?
উত্তর: এখানে কথাটা হলো: করিমগঞ্জ হাসপাতালের বড় ডাক্তার মজিদের মুরিদ।
৯৫. ‘দুনিয়াটা বড় বিচিত্রি জায়গা। সময়ে-অসময়ে মিথ্যে কথা না বললে নয়।’- এটি কার উপলব্ধি?
উত্তর: মজিদের।
৯৬. ‘কুত্তা তোমাকে কামড়ালে তুমিও কি উলটো তাকে কামড়ে দেবে?’- এটি কার উক্তি?
উত্তর: এটি আওয়াল পুরের পির সাহেবের উক্তি।
৯৭. আমেনা বিবির কত বছর বয়েসে বিয়ে হয়েছিল?
উত্তর: ১৩ বছর বয়েসে বিয়ে হয়েছিল।
৯৮. ‘সজ্ঞানে না জানলেও তারা একাট্টা, পথ তাদের এক।’-এখানে ‘তারা’ কারা?
উত্তর: এখানে তারা হলো: মজিদ ও খালেক ব্যাপারি।
৯৯. খালেক ব্যাপারির দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর ভাইয়ের নাম কী?
উত্তর: ধলা মিয়া।
১০০. আওয়ালপুর ও মহব্বতনগর গ্রামের মাঝখানে কোন গাছ আছে?
উত্তর: দেবংশি তেঁতুল গাছ।
১০১. ‘দলিল-দস্তাবেজ জাল হয়, কিন্তু খোদাতালার কালাম জাল হয় না।’-এটা কার উক্তি?
উত্তর: এটি মজিদের উক্তি।
১০২. ‘লালসালু’ উপন্যাসে কার উক্তি দুই দিকে কাটে?
উত্তর: মজিদের উক্তি দুই দিকে কাটে।
১০৩. ‘ব্যাপারটা ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাবার মতো।’- কোন ব্যাপারটা?
উত্তর: আওয়ালপুরের পিরের কাছে পানি পড়া আনতে পাঠানো।
১০৪. ‘ ঠগ-পিরের পানিপড়ায় কি কোনো কাম হয়?’-এটি কার উক্তি? টগ পিরটি কে?
উত্তর: এটি খালেক ব্যাপারির উক্তি, টগ পিরটি আওয়ালপুরের পির।
১০৫. ‘আমার থিকা ঠগ-পির বেশি হইল? আমার মুখে কি জোর নাই?’ এটি কার উক্তি?
উত্তর: এটি মজিদের উক্তি।
১০৬. মজিদের মতে মেয়েলোকের সন্তান হয় না কেন?
উত্তর: মজিদের মতে মেয়েলোকের পেটে বেড়ি পড়লে সন্তান হয় না।
১০৭. মজিদের মতে মেয়েলোকের পেটে কত কত প্যাঁচের বেড়ি পড়ে?
উত্তর: সাত, চৌদ্দ কিংবা একুশ প্যাঁচের বেড়ি পড়ে।
১০৮. কত প্যাঁচের বেড়ি পড়লে ছাড়ানো যায় না বলে মজিদ জানায়?
উত্তর: সাতের উপরে বেড়ি পড়লে আর ছাড়ানো যায় না।
১০৯. রহিমার পেটে কত প্যাঁচের বেড়ি পড়েছে বলে মজিদ জানায়?
উত্তর: চৌদ্দ প্যাঁচের বেড়ি পড়েছে বলে মজিদ জানায়।
১১০. বেড়ি খোলার জন্য আমেনা বিবিকে মাজারের চার পাশে কয় পাক দিতে হবে?
উত্তর: সাত পাক দিতে হবে।
১১১. তাহেরের মায়ের মৃত্যু সংবাদ মজিদ কার কাছে শুনতে পায়?
উত্তর: হাসুনির মায়ের কাছে।
১১২. তাহেরের মায়ের জানাজা কে পড়াবে?
উত্তর: মোল্লা শেখ।
১১৩. তাহেরের ছোট ভাই কী হতে চায়?
উত্তর: কেরায়া নায়ের মাঝি।
১১৪. তাহেরের মাকে কোথায় কবর দেয়া হবে?
উত্তর: কদম গাছের তলে।
১১৫. আমেনা বিবি কী বারে রোজা রাখে?
উত্তর: শুক্রবারে।
১১৬. মজিদের পানি পড়া নিয়ে রহিমা কখন খালেক ব্যাপারির বাড়ি আসে?
উত্তর: দুপুরের কিছু আগে।
১১৭. ‘তানি যে খোদার মানুষ’- এই খোদার মানুষটি কে?
উত্তর: মজিদ।
১১৮. আমেনা বিবিকে নেয়ার জন্য কয়জন বেহারা পালকি নিয়ে আসে?
উত্তর: দুইজন।
১১৯. খালেক ব্যাপারির বাড়ি থেকে মজিদের মাজার কতদূর?
উত্তর: এক ঢিলের পথ।
১২০. আমেনা বিবি কী রঙের চাদর গায়ে দিয়ে মজিদের বাড়িতে যায়?
উত্তর: হলুদ রঙের বুটিদার চাদর।
১২১. ‘দয়ালুদের মধ্যে দয়ালুতম সে খোদার ইচ্ছাই তো অক্ষরে অক্ষরে প্রতিপালিত হবে।’- এটি কার উপলব্ধি?
উত্তর: আমেনা বিবির।
১২২. ‘মেয়েলোকের মনের মস্করা সহ্য করবে অতটা দুর্বল নয় সমাজ।’- এটি কার উপলব্ধি?
উত্তর: আমেনা বিবির।
১২৩. ‘একটা প্রখর-অত্যুজ্জ্বল আলো তার ভেতরটা কানা করে দিয়েছে।’- কার ভেতরটা কানা করে দিয়েছে?
উত্তর: আমেনা বিবির।
১২৪. মাজারে কয় পাক দেয়ার পর আমেনা বিবি অচেতন হয়ে যায়?
উত্তর: আড়াই পাক।
১২৫. ‘তানারে তালাক দেন।’ এটি কার উক্তি?
উত্তর: মজিদের।
১২৬. ‘খোদার কালামের সাহায্যে যে কথা জানা যায় তা সূর্যের রোশনাইর মতো সাফ।’- এটি কার উক্তি?
উত্তর: মজিদের।
১২৭. ‘দুনিয়াটা বড় বিচিত্র। যেখানে সাপ জাগে সেখানে আবার কোমলতার ফুল ফোটে।’- এটি কার উপলব্ধি?
উত্তর: মজিদের।
১২৮. ‘ ঠান্ডা, শীতল, ধর্মভীরু ও স্বামীভীরু মানুষ।’- এই মানুষটি কে?
উত্তর: আমেনা বিবি।
১২৯. নাইয়র থেকে ফিরবার সময় কী থেকে আমেনা বিবি বুঝতো যে স্বামীর বাড়ি এসেছে?
উত্তর: থোতামুখা তালগাছটি দেখে।
১৩০. ‘ওটা ছিল নিশানা, আনন্দের আর সুখের।’- কোনটা?
উত্তর: থোতামুখা তালগাছটি।
১৩১. ‘তার জীবনে শৌখিনতা কিছু যদি থাকে তবে তা এই কয়েক গজ রূপালি চাকচিক্য।’- এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: মজিদের।
১৩২. মাজারের গাত্রাবরণ বদলানোর খরচ কে বহন করে?
উত্তর: খালেক ব্যাপারি।
১৩৩. ‘ তুমি এত দয়ালু, খোদা, তবু তুমি কী কঠিন।’- এটি কার উপলব্ধি?
উত্তর: রহিমার।
১৩৪. ‘ হাওয়ায় ক-দিন ধরে একটা কথা ভাসে।’- কোন কথা?
উত্তর: আক্কাসের স্কুল প্রতিষ্ঠার কথা।
১৩৫. আক্কাসের বাবার নাম কী?
উত্তর: মোদাব্বের মিঞা।
১৩৬. আক্কাস কোন স্কুলে পড়াশুনা করেছে?
উত্তর: করিমগঞ্জের স্কুলে।
১৩৭. ‘বিদেশি হাওয়ায় মাথাটা একটু গরম ধরেছে।’- কার মাথাটা?
উত্তর: আক্কাসের।
১৩৮. মহব্বত নগর গ্রামে কয়টি মক্তব আছে?
উত্তর: দুটি।
১৩৯. ‘- তোমার দাড়ি কই মিঞা?’- এটি কার উক্তি, কার প্রতি।
উত্তর: মজিদের উক্তি, আক্কাসের প্রতি।
১৪০. আগে গ্রামের মানুষ শিলাবৃষ্টির ভয়ে কাকে ডাকতো?
উত্তর: শিরালিকে ডাকতো।
১৪১. মহব্বত নগর গ্রামের পাক মসজিদ নির্মাণ ব্যয়ের কত অংশ খালেক ব্যাপারি বহন করতে চায়?
উত্তর: বারো আনা অংশ।
১৪২. ‘এখন সে ঝড়ের মুখে উড়ে চলা পাতা নয়, সচ্ছলতায় শিকড়গাড়া বৃক্ষ।’-এটি কার উপলব্ধি?
উত্তর: মজিদের।
১৪৩. ‘মজিদের মনে কিন্তু অন্য কথা ঘোরে।’- এখানে অন্য কথা কী?
উত্তর: নতুন বিয়ে।
১৪৫. ‘-বিবি, আমাগো বাড়িটা বড়ই নিরানন্দ। তোমার একটা সাথি আনুম?’- এখানে সাথী মানে কী?
উত্তর: এখানে সাথী মানে সতীন।
১৪৬. মহব্বতনগর গ্রামের নতুন মসজিদের কাজ কোন মাসে শেষ হয়?
উত্তর: জ্যৈষ্ঠ মাসে।
১৪৭. মহব্বত নগর গ্রামের মানুষের শরীরে কোন মাসে ঘামচি উঠে?
উত্তর: জ্যৈষ্ঠ মাসে।
১৪৮. মজিদ কোন মাসে জমিলাকে বিয়ে করে?
উত্তর: জ্যৈষ্ঠ মাসে।
১৪৯. মজিদের নতুন বউ-এর নাম কী?
উত্তর: জমিলা।
১৫০. ‘বিচিত্রভাবে জীবন্ত সে হাসি, ঝরনার অনাবিল গতির মতো ছন্দময় দীর্ঘ সমাপ্তিহীন ধারা।’- এই হাসি কার?
উত্তর: জমিলার।
১৫১. ‘তানি বুঝি দুলার বাপ।’- এটি কার উক্তি? তানিটা কে?
উত্তর: জমিলার, তানি হলো মজিদ।
১৫২. জমিলা বাপের বাড়িতে কাকে ফেলে এসেছে বলে রহিমাকে জানায়?
উত্তর: একটা নুলা ভাইকে ফেলে এসেছে বলে জানায়।
১৫৩. একদিন সকালে একটা খ্যাংটা বুড়ি মাজারে এসে কেন বিলাপ শুরু করে?
উত্তর: তার একমাত্র ছেলে মারা যাওয়ায়।
১৫৪. রাতের বেলায় ডোমপাড়ায় কী বাজে?
উত্তর: ঢোলবাজে।
১৫৫. ‘হটাৎ তার মনে বিদ্রোহ জেগেছে।’- কার মনে?
উত্তর: জমিলার মনে।
১৫৬. ‘হঠাৎ এমন এক প্রতিদ্ব›দ্বীর সম্মুখী হয় যে, সে বুজে উঠতে পারে না তাকে কীভাবে দমন করতে হবে।’- এখানে প্রতিদ্ব›দ্বীটা কে?
উত্তর: জমিলা।
১৫৭. মজিদ কী দিয়ে দাঁত মেছোয়াক করে?
উত্তর: নিমের ডাল দিয়ে।
১৫৮. ‘সে চোখে বিন্দুমাত্র খোদার ভয় নেই-মানুষের ভয় তো দূরের কথা।’- কার চোখে?
উত্তর: জমিলার চোখে।
১৫৯. জমিলা রহিমাকে কী বলে সম্বোধন করে?
উত্তর: বুবু বলে সম্বোধন করে।
১৬০. জমিলার কখন ঘুমানোর অভ্যাস।
উত্তর: জমিলার সন্ধ্যায় ঘুমানোর অভ্যাস।
১৬১. ‘শত্রুর আভাস-পাওয়া হরিণের চোখের মতোই সতর্ক হয়ে ওঠে তার চোখ।’- কার চোখ?
উত্তর: জমিলার।
১৬২. ‘তাঁনার দিলে গোস্বা আসে এমন কাম কোনো দিন করিও না।’- এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: কথিত মোদাচ্ছের পিরের কথা।
১৬৩. ‘সে যন খাঁচায় ধরা পড়েছে।’- কে খাঁচায় ধরা পড়েছে?
উত্তর: জমিলা।
১৬৪. ‘বালু তীরে যুগযুগ আঘাত পাওয়া শক্ত কঠিন পাথর তো সে নয়।’- এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: জমিলার কথা বলা হয়েছে।
১৬৫. ‘লতার মতো মেয়েটি যেন এ সংসারে ফাটল ধরিয়ে দিতে এসেছে।’- কে এই মেয়েটি?
উত্তর: জমিলা।
১৬৬. ‘বিবি, কারে বিয়া করলাম? তুমি কি বদদোয়া দিছিলানি?’- এটি কার উক্তি কার প্রতি?
উত্তর: মজিদের উক্তি, রহিমার প্রতি।
১৬৭. কার পেটওয়ালা ছাগলটা ডাকতে ডাকতে হয়রান হতো?
উত্তর: কাদের মিয়ার।
১৬৮. ‘তার আনুগত্য ধ্রæবতারার মতো অনড়, তার বিশ্বাস পর্বতের মতো অটল। সে তার ঘরের খুঁটি।’- এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: রহিমার কথা বলা হয়েছে।
১৬৯. ‘তোমার শিক্ষা হয় নাই, তোমারে শিক্ষা দেওন দরকার।’-এটি কার উক্তি, কার প্রতি?
উত্তর: মজিদের উক্তি, জমিলার প্রতি।
১৭০. মজিদ জমিলাকে কোন নামাজ পড়ার হকুম করে?
উত্তর: তারাবির নামাজ পড়ার হুকুম দেয়।
১৭১. ‘এত করেও যার মনে ভয় হয় নাই, তাকেই এবার ভয় হয় মজিদের।’-এখানে কাকে ভয় পায় মজিদ।
উত্তর: জমিলাকে।
১৭২. ‘এখন গা-ঢেলে নিস্তজ হয়ে থাকলে কী হবে বিষাক্ত সাপকে দিয়ে কিছু বিশ্বাস নেই।’-মজিদের দৃষ্টিতে এই বিষাক্ত সাপটি কে?
উত্তর: জমিলা।
১৭৩. ‘প্রকৃতির লীলা চেয়ে চেয়ে দেখাও একরম এবাদত।’- এটি কার উপলব্ধি?
উত্তর: মজিদের।
১৭৪. ঝড়ের রাতে মাজারে বেঁধে রেখে মজিদের কণ্ঠে পবিত্র কোরআনের কোন সুরা উচ্চারিত হয়?
উত্তর: সুরা ফালাখ।
১৭৫. ‘লালসালু’ উপন্যাসে কাকে খোদার ঢিল বলা হয়েছে?
উত্তর: শিলাবৃষ্টিকে।
১৭৬. ‘প্রশ্নটি এই রকম যে মজিদের ইচ্ছা হয় একটা হুঙ্কার ছাড়ে।’- প্রশ্নটি কী এবং এটি কার প্রশ্ন ?
উত্তর: এটি রহিমার প্রশ্ন এবং প্রশ্নটি হলো: ‘মরছে নাকি?’
শব্দার্থ
১. ‘বাহে মূলুক’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: উত্তরবঙ্গ এলাকা।
২. ‘নিরাক পড়া’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বাতাসহীন নিস্তব্ধ গুমেটি আবহাওয়া। ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়েএ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
৩. ‘জাহেল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: অজ্ঞ। মূর্খ। নির্বোধ।
৪. ‘আনপাড়হ্’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: যাদের পড়াশোনা জ্ঞান নেই এমন লোক।
৫. ‘বেচাইন’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: অস্থির। উতলা।
৬. ‘সালু’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: এক রকম লাল সুতি কাপড়।
৭. ‘বতোর দিন’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: জমিতে বীজ বপন বা ফসল বোনার এবং ফসল কাটার উপযুক্ত সময়।
৮. ‘মগরা মগরা ধান’ এর অর্থ কী?
উত্তর: প্রচুর ধান। গোলা বা মোড়া ভর্তি ধান।
৯. ‘বেওয়া’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বিধবা।
১০. ‘বেগানা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: অনাত্মীয়।
১১. ‘রুঠাজমি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: অনুর্বর ভূমি। নিস্ফলা জমি।
১২. ‘নধর নধর’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: কমনীয়, সরস ও নবীন।
১৩. ‘বুত পূজারী’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: যারা মূর্তি পূজা করে।
১৪. নছিহত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: উপদেশ। পরমার্শ।
১৫. ‘মারুফ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: মহান পুরুষ। মহাপুরুষ।
১৬. ‘রুহ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: আত্মা। অন্তরাত্মা।
১৭. ‘মহা তমি¯্রা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: গভীর অন্ধকার। ঘোর অমানিশা।
১৮. ‘বাজখাঁই গলায়’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: গম্ভীর ও কর্কশ স্বরে।
১৯. ‘ঝুটমুট’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: মিথ্যা। বানানো কথা।
২০. ‘নেকবন্দ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: পুণ্যবান। মহাপুরুষ।
২১. ‘হলফ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: শপথ। প্রতিজ্ঞা।
২২. ‘রদ্দি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: পচা। বাসি।
২৩. ‘আমসিপানা মুখ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: শুকিয়ে যাওয়া মুখ।
২৪. বাজপাখি কী? উত্তর: এক ধরণের শিকারি পাখি।
২৫. ‘আথালি-পাথালি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: এলোমেলো।
২৬. ‘লোটা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ঘটি। পাত্র বিশেষ।
২৭. ‘বালা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: আপদ-বিপদ।
২৮. ‘শোকর গুজার’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: কৃতজ্ঞতা। প্রশংসা। তৃপ্তি বা তুষ্টি প্রকাশ।
২৯. ‘তোয়াক্কল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ভরসা। নির্ভর।
৩০. ‘এস্তেমাল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ব্যবহার করা। আয়ত্ত করা।
৩১. ‘তকলিফ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: কষ্ট।
৩২. ‘জঈফ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: অতি বৃদ্ধ।
৩৩. ‘ রেহেল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: কোরান শরিফ রাখার জন্য কঠের কাঠামো।
৩৪. ‘উচক্কা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: অবাধ্য। ডানপিঠে। দুরন্ত।
৩৬. ‘নাফরমানি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: অবাধ্য।
৩৫. ‘হুড়কা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: দরজার খিল।
ধন্যবাদ ভাই, সিরাজ উদ্দোলা নাটকের টা দিয়েন
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলোক প্রশ্নোত্তর আপলোড হয়েছে। চেক করুন।